Skip to main content

Posts

Showing posts from January 27, 2018

কার্বন-১৪

কার্বন-১৪ হলো কার্বনে তেজষ্ক্রীয় রূপভেদ। এই কার্বন-১৪ দিয়ে কোনো বিশেষ প্রকারের তেজষ্ক্রীয় কার্বন কোনো বস্তু কতটুকু ধারণ করেছে, তার ভিত্তিতে প্রত্নবস্তুর বয়স নির্ধারণ করা যায়। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে উইলার্ড লিবি নামের এক মার্কিন বিজ্ঞানী প্রথম আবিষ্কার করলেন যে, জৈব বস্তুসামগ্রী, যেমন কাঠ, কাঠকয়লা, হাড়, অতসী, শিং এবং পীট, যেগুলো একসময় কোনো না কোনো প্রাণসত্তার অংশ ছিলো, সেগুলো প্রকৃতি থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্বন-১৪ গ্রহণ করে। এই পরিমাণ পরবর্তিতে কতটুকু ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে, তা নির্ণয় করে বস্তুটির সঠিক বয়স নির্ণয় করা যেতে পারে। কার্বন-১৪ পদ্ধতির বহুল ব্যবহার হয়ে থাকে প্রত্নবস্তুে। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে জীবিত গাছপালা বায়ুমণ্ডল থেকে প্রায় সমপরিমাণ তেজষ্ক্রীয় কার্বন১৪ এবং অতেজষ্ক্রীয় কার্বন১২ শোষণ করে, আর যেসব প্রাণী এই উদ্ভিজ্জাত খাদ্য গ্রহণ করে তারাও এই দুই প্রকার কার্বন গ্রহণ করে। মৃত্যু হয়ে গেলে প্রাণী আর কার্বন শোষণ করতে পারে না। তখন এর কলাতন্ত্রে আর কোষগুলোতে অবস্থানকারী কার্বন-১৪ ক্ষয়প্রাপ্ত হতে বা এর তেজষ্ক্রীয়তা হারিয়ে যেতে...