কাজী নজরুল ইসলাম ও সুভাষচন্দ্র বসু উভয়ই যেন বিদ্রোহের অপর নাম। বাংলার বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের কবিতা ও গান সুভাষচন্দ্রকে শিহরিত, পুলকিত, রোমাঞ্চিত করতো। সেই প্রাণমাতানো গানের যুগে যখন ওভারটুন হল, রামমোহন লাইব্রেরি ও ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটে একাধিক চ্যারেটি কনসার্টে কবি নজরুল স্বকন্ঠে গান গেয়েছিলেন দেশবন্ধু ও সুভাষের উপস্থিতিতে। নজরুলের একটি গান "শিখল পড়ার ছল" শুনে সুভাষ নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি সেদিন, দেশপ্রেমের বলে নিজেকে আরো বলিয়ান করেছিলেন তিনি; আর দেশবন্ধু! তারও চোখ ছলছল করে উঠেছিল মুহূর্তে। লেখক সুমিত মুখোপাধ্যায় তাই তার প্রবন্ধতে বলেছেন, গানটির মধ্যে কেবল বাংলায় সুপ্তোত্থিত যুবশক্তির অন্তর্বহ্নি প্রজ্জ্বলনের আহ্বান নয়, সুভাষের নিজের ছায়াও প্রতিফলিত হয়েছে। ১ নজরুলের একটি কবিতা "সব্যসাচী" সেখানেও যেন আমরা সুভাষের ছায়া পেয়ে থাকি ছত্রে ছত্রে, তিনিই ছিলেন 'যুগশস্ত্রপানী', যিনি এসেছেন নবীনদের দীক্ষা দিতে ও ভারতমাতাকে মুক্ত করতে। আবার শরৎচন্দ্র এর উপন্যাস পথের দাবী তেও "মুক্তির অগ্রদূত" হিসেবে তিনি যেন সুভাষকেই বেছে নিয়েছিলেন। ২ সালটা ছিল ১...
Exploring history and culture.