Skip to main content

Posts

Showing posts from January 26, 2018

সুদর্শন চক্র 

সুদর্শন চক্র  হচ্ছে একটি ধারালো অস্ত্র, যার ১০৮টি ধারালো ধার রয়েছে। হিন্দু ধর্মমতে চক্রটি হিন্দু দেবতা ভগবান বিষ্ণু ব্যবহার করেন। চক্রটি ভগবান   বিষ্ণু তাঁর ডান দিকের উপরের হাতে ধারণ করেন এবং তিনি অন্য তিনটি হাতে যথাক্রমে শংখ, গদা ও পদ্ম ধারন করেন ।  পুরাণ মতে অন্যায়-অশুভ শক্তির দমন এবং শান্তি প্রতিষ্টার জন্য বিষ্ণু সুদর্শন চক্র ব্যবহার করেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি চক্রটির মাধ্যমে অনেক অসুর বধের মাধ্যমে স্বর্গ এবং মর্ত্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন।  সুদর্শন  শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। সংস্কৃত  সু এবং দর্শন শব্দের সমন্বয়ে সুদর্শন শব্দটি গঠিত হয়েছে। এখানে  সু  (सु)অর্থ  "ভালো বা মঙ্গল'' এবং  দর্শন (दर्शन) অর্থ "দৃশ্যমান" । অর্থাৎ সুদর্শন শব্দের অর্থ "মঙ্গলময় দর্শন।" আবার  চক্র  শব্দটি সংস্কৃত  চো  এবং  কু  এর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। এখাএন  চো  (चृ:) শব্দের অর্থ "চলাচল" এবং কু শব্দের অর্থ সম্পাদন করা। অর্থাৎ, চক্র অর্থ এমন কিছু য...

ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস

ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস দক্ষিণ এশিয়া প্রস্তর যুগ ৭০,০০০-৩৩০০খ্রীষ্টপূর্ব •  মেহেরগড় • ৭০০০-৩৩০০খ্রীষ্টপূর্ব হরপ্পা ও মহেঞ্জদর সভ্যতা ৩৩০০-১৭০০খ্রীষ্টপূর্ব হরপ্পা সংস্কৃতি ১৭০০-১৩০০খ্রীষ্টপূর্ব বৈদিক যুগ ১৫০০-৫০০খ্রীষ্টপূর্ব লৌহ যুগ ১২০০-৩০০খ্রীষ্টপূর্ব •  ষোড়শ মহাজনপদ • ৭০০-৩০০খ্রীষ্টপূর্ব •  মগধ সাম্রাজ্য • ৫৪৫খ্রীষ্টপূর্ব •  মৌর্য সাম্রাজ্য • ৩২১-১৮৪খ্রীষ্টপূর্ব মধ্যকালীন রাজ্যসমূহ ২৫০খ্রীষ্টপূর্ব •  চোল সাম্রাজ্য • ২৫০খ্রীষ্টপূর্ব •  সাতবাহন সাম্রাজ্য • ২৩০খ্রীষ্টপূর্ব •  কুষাণ সাম্রাজ্য • ৬০-২৪০ খ্রীষ্টাব্দ •  গুপ্ত সাম্রাজ্য • ২৮০-৫৫০ খ্রীষ্টাব্দ •  পাল সাম্রাজ্য • ৭৫০-১১৭৪ খ্রীষ্টাব্দ •  রাষ্ট্রকুট • ৭৫৩-৯৮২ •  ইসলামের ভারত বিজয় • •  সুলতানী আমল • ১২০৬-১৫৯৬ •  দিল্লি সালতানাত • ১২০৬-১৫২৬ •  দাক্ষিনাত্যের সুলতান • ১৪৯০-১৫৯৬ হৈসল সাম্রাজ্য ১০৪০-১৩৪৬ কাকতীয় সাম্রাজ্য ১০৮৩-১৩২৩ আহমন সাম্রাজ্য ১২২৮-১৮২৬ বিজয়নগর সাম্রাজ্য ১৩৩৬-১৬৪৬ মুঘল সাম্রাজ্য ১৫২৬-১৮৫৮ মারাঠা সাম্রাজ্য ১৬৭৪-১...

নোবেল পুরস্কারের ইতিহাস লেখক: জানা আজানার পথিক(প্রফাইল অনুসারে)

নোবেল পুরস্কার। বিশ্বের সর্বোচ্চ ও মর্যাদাপূর্ন পুরস্কার। ১৯০১ সালে শুরু হওয়া এই মর্যাদাপূর্ন পুরস্কারের ১১০তম আসর বসেছিলো ৩-১৩ অক্টোবর নরওয়েতে। একে একে ২০১১ সালের জন্য মনোনীত সকল বিজয়ীর নাম ঘোষনা করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে জেনে নেই নোবেল পুরস্কারের আদ্যোপান্ত। এই পুরস্কারের প্রবক্তাঃ ১৮৩৩ সালের ২১ অক্টোবরের কোন এক প্রহরে সুইডেনের স্টকহোমে জন্মগ্রহন করেন শিল্পপতি ইমানুয়েল নোবেল ও মা অ্যানড্রিয়েটি নোবেলের ৩য় সন্তান আলফ্রেড বার্নার্ড নোবেল। তার অপর দুই ভাই হলো রবার্ট নোবেল ও লুডিগ নোবেল। আলফ্রেড নোবেল ছিলেন তৃতীয় ও সর্বশেষ ভাই। তিনি ব্যক্তিজীবনে ছিলেন রসায়নবিদ, প্রকৌশলী, উদ্ভাবক ও অস্ত্রনির্মান প্রতিষ্ঠানের মালিক। আলফ্রেড নোবেলের মোট আবিষ্কারের সংখ্যা ৩৫৫। যার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত আবিষ্কার ডিনামাইট। এতো বিশাল সংখ্যক আবিষ্কার করে প্রচুর টাকা রোজগার করেন সুইডেনে জন্ম নেওয়া এই বিজ্ঞানী। সেই টাকা দিয়েই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে সম্মানজনক পুরষ্কার ‘নোবেল পুরষ্কার’। পুরস্কার প্রতিষ্ঠার পিছনের কাহিনীঃ নোবেল পুরষ্কার প্রতিষ্ঠার পেছনের গল্পটা বেশ মজার। আলফ্রেড নোবেলের অধ...

বিজ্ঞান পড়া কি জরুরি? - রাউল আমিন মহম্মদ দীপু

বিজ্ঞানের মাঝেই আমাদের বসবাস। সকালে ঘুম থেকে জাগার পর রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত আমরা যা কিছুই করি না কেন, বিজ্ঞান ছাড়া অসম্ভব। এমনকি ঘুমকেও বাদ দেয়া যাবে না বিজ্ঞান থেকে। বিজ্ঞান কোন কিছুকে ব্যাখ্যা করে, সেটা বিশ্লেষণ করে, তত্ত্ব-উপাত্ত যাচাই করে এবং গ্রহণযোগ্য একটা সিদ্ধান্ত দেয়। এই সিদ্ধান্তগুলোই আবিষ্কার হিসেবে মানুষের কাছে পৌঁছায়। এছাড়াও, যতক্ষণ পর্যন্ত বিজ্ঞান কোন কিছুর প্রমাণ দেয় না, ততক্ষণ পর্যন্ত তা গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠে না। বিজ্ঞান পড়ার ৪টি প্রয়োজনীয়তা: বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি চিন্তা ও দক্ষতাকে উত্সাহিত করে:  বিজ্ঞানের ভিত্তি হচ্ছে চিন্তা করা এবং তা পরীক্ষা করা। চিন্তা এবং পরীক্ষার এই পদ্ধতিই হচ্ছে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। যার শুরুটা হয় একটি চিন্তায় এবং শেষ গ্রহণযোগ্য একটি সিদ্ধান্তে। একজন মানুষ গড়ে প্রায় ৭০ হাজার চিন্তা করতে পারে প্রতিদিন। প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১টি করে চিন্তা। এই চিন্তাগুলো যে কোন সময় একটা রেনেসাঁ হতে পারে, কিন্তু তার জন্য দরকার চিন্তার পাশাপাশি গ্রহণযোগ্য একটি সিদ্ধান্ত ও এর বাস্তবায়ন। আর এই সিদ্ধান্ত বৈজ্ঞানিক পরীক্ষার [১] ভেতরেই নিহিত রয়েছে। এটা ছা...

এই ব্লগের উদ্দেশ্য

বর্তমানের সৃষ্টি হয়েছে অতীতের গর্ভ থেকে তাই আগে আমাদেরকে অতীতকে জানতে হবে নাহলে বর্তমানের অনেক কিছুই আমাদের কাছে অধরা রয়ে যাবে।অতীততের জ্ঞান না অর্জন করলে বর্তমানের অনেক কিছুকেই যথোচিত বিশ্লেষণের আওতায় আনা অসম্ভব হয়ে পড়বে বা বিশ্লেষিত করার সক্ষমতা অর্জনেও আমরা অক্ষম হব। তাই অতীতকে আগে জানা উচিত আর এই অতীতের জ্ঞান লাভেই সাহায্য করে থাকে ইতিহাস। তাই এই ব্লগ সেই জ্ঞানকেই আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। "ইতিহাস: একটি সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা"  পত্রিকায় লেখার বিষয়বস্তু, মতামত কিংবা মন্তব্য– লেখকের একান্তই নিজস্ব। "ইতিহাস: একটি সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা"  -এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে এর মিল আছে, এমন সিদ্ধান্তে আসার কোনো যৌক্তিকতাই নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে  "ইতিহাস: একটি সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা"  আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কইোনো প্রকার দায় বহন করে না।  "ইতিহাস: একটি সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা"-  প্রকাশিত কোন লেখা অনুমতি ব্যতীত আংশিক বা পূর্ণ অংশ অন্য কোন মিডিয়াতে ব্যবহার করা যাবে না।