সুদর্শন চক্র হচ্ছে একটি ধারালো অস্ত্র, যার ১০৮টি ধারালো ধার রয়েছে। হিন্দু ধর্মমতে চক্রটি হিন্দু দেবতা ভগবান বিষ্ণু ব্যবহার করেন। চক্রটি ভগবান বিষ্ণু তাঁর ডান দিকের উপরের হাতে ধারণ করেন এবং তিনি অন্য তিনটি হাতে যথাক্রমে শংখ, গদা ও পদ্ম ধারন করেন ।
পুরাণ মতে অন্যায়-অশুভ শক্তির দমন এবং শান্তি প্রতিষ্টার জন্য বিষ্ণু সুদর্শন চক্র ব্যবহার করেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি চক্রটির মাধ্যমে অনেক অসুর বধের মাধ্যমে স্বর্গ এবং মর্ত্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন।
সুদর্শন শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। সংস্কৃত সুএবং দর্শন শব্দের সমন্বয়ে সুদর্শন শব্দটি গঠিত হয়েছে। এখানে সু (सु)অর্থ "ভালো বা মঙ্গল'' এবং দর্শন(दर्शन) অর্থ "দৃশ্যমান" । অর্থাৎ সুদর্শন শব্দের অর্থ "মঙ্গলময় দর্শন।"
আবার চক্র শব্দটি সংস্কৃত চো এবং কু এর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। এখাএন চো (चृ:) শব্দের অর্থ "চলাচল" এবং কু শব্দের অর্থ সম্পাদন করা। অর্থাৎ, চক্র অর্থ এমন কিছু যা চলাচল করতে সক্ষম। বেদ এবং পুরানে উল্লেখিত দেবতাদের অস্ত্রগুলোর মধ্যে সুদর্শন চক্রই একমাত্র অস্ত্র যা নিজ হতে চলাচল করতে পারে।
সুদর্শন চক্র সম্পর্কিত অনেকগুলো পৌরানিক কাহিনীর উল্ল্যেখ পাওয়া যায়
সুদর্শন চক্রটি তৈরি করেছিলেন হিন্দু স্থাপত্যের দেবতা বিশ্বকর্মা। বিশ্বকর্মার কন্যা সানজানা হিন্দু দেবতা সূর্যকে বিবাহ করেছিলেন। কিন্তু সূর্য্যের প্রচন্ড তাপের জন্য তিনি দেবতা সূর্যের কাছে যেতে পারতেন না। তখন তিনি তাঁর পিতা বিশ্বকর্মার কাছে তার এই অপারগতার কথা জানালেন। তখন বিশ্বকর্মা সূর্যকে হস্তগত করেন এবং তার ঔজল্য নষ্ট করে দেন। যার ফলে সানজানা সূর্যের কাছে যেতে সক্ষম হয়েছিলেন।
সুর্যের তাপ এবং আলো নষ্ট হওয়ার পর বিশ্বকর্মা কিছু অবশিষ্টাংশ পান। যা দিয়ে তিনি ৩টি পবিত্র দ্রব্য তৈরি করেন। যথা;
১। পুষ্পক রথ (দেবতাদের বাহন)
২। ভগবান শিবের ত্রিশুল
৩। তৃতীয়তে তিনি ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র তৈরি করেন।
হিন্দুপুরাণে সুদর্শন চক্রকে সবথেকে শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে উল্ল্যেখ করা হয়েছে।
(সৌজন্যে:উইকিপিডিয়া)
(সৌজন্যে:উইকিপিডিয়া)
***এই ব্লগ পত্রিকায় লেখা পাঠানোর জন্য ও পুরষ্কার সংক্রান্ত নির্দেশনামার জন্য ক্লিক করুন:
Comments
Post a Comment