Skip to main content

Posts

Showing posts from July, 2018

বিষয়- সুকুমারী ভট্টাচার্য / লেখিকা- রোমিলা থাপার

সুকুমারী ভট্টাচার্য তাঁর সমসাময়িক ইন্ডোলজিস্টদের মধ্যে একজন অন্যতম অগ্রগণ্য, যিনি তাঁর বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে ভারতীয় পৌরাণিক আখ্যানগুলির  (Mythology)  ওপর এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করেছেন। আমি এই  ব্যাপারে তাঁর লেখা   The Indian Theogony   বইটির কথা উল্লেখ করতে চাই, যা আমি মনে করি তাঁর গবেষণার এক নতুন ও সুন্দর উদাহরণ। ইংরেজী ও সংস্কৃত দুই ভাষাতেই তাঁর শিক্ষা এবং ভারতীয় ও ইউরোপীয়ান পৌরাণিক কথাগুলির সম্বন্ধে তাঁর প্রভূত জ্ঞান তাঁকে এই বিষয়ে তুলনামূলক স্টাডি করতে সাহায্য করেছিল। সুকুমারী ভট্টাচার্য খালি বিভিন্ন সংস্কৃতির পৌরাণিক আখ্যানগুলির পাশাপাশি তুলনা করেই থেমে যান নি, তিনি এর থেকেও দু’পা এগিয়ে গেছেন। তার প্রথমটা হচ্ছে কোন প্রসঙ্গে   (context)    আখ্যানটি ঘটেছিল এবং সেটি কি ভাবে সেই প্রসঙ্গের সাথে যুক্ত। প্রসঙ্গটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সেটাই পৌরাণিক আখ্যানগুলির আঁতুড় ঘর। এর অর্থ আখ্যানটি বর্তমান আকারে কি ভাবে এলো, তার গভীর নিরীক্ষা। আর অন্যটা হচ্ছে যে পৌরাণিক আখ্যানটি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে কি না, আর হয়ে থাকলে কতটা ও কিভাব...

***এশিয়াটিক সোসাইটি ভবন , কলকাতা***

এশিয়াটিক সোসাইটি, কলকাতা (১৭৮৪)  বৈজ্ঞানিকভাবে এশীয় সভ্যতা, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া, অধ্যয়নের জন্য প্রথম পান্ডিত্যপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। স্যার উইলিয়ম জোনস্ (১৭৪৬-১৭৯৪), যিনি ১৭৮৩ সালে কলকাতা সুপ্রীম কোর্টে কনিষ্ঠ বিচারক হিসেবে যোগদান করেন, সর্বপ্রথম সার্বিকভাবে এশিয়া এবং বিশেষভাবে দক্ষিণ এশিয়ার উপর পদ্ধতিগত গবেষণা পরিচালনার জন্য একটি সমিতি প্রতিষ্ঠার ধারণা দেন। ইতোমধ্যে নাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড, চালট্টস উইলকিন্র, এইচ.টি. কোলব্রুকসহ বেশ কয়েকজন কোম্পানি কর্মচারী সক্রিয়ভাবে প্রাচ্যদেশীয় অধ্যয়নে জড়িত হয়ে পড়েন। গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস স্বয়ং ভারতীয় ক্ল্যাসিক্যাল ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি গভীর আগ্রহী ছিলেন। সুতরাং প্রাচ্যবিদ্যা অধ্যয়নের উদ্দেশ্যে একটি নিয়মিত সংস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য জোনসের প্রস্তাব ফোর্ট উইলিয়ম এর অন্যান্য সহকর্মীদের নিকট থেকে জোরালো সমর্থন লাভ করে। ১৭৮৪ সালের ১৫ জানুয়ারি সমমনা ৩০ জন উৎসাহী ইউরোপীয় ব্যক্তিত্ব কলকাতা সুপ্রীম কোর্টের গ্রান্ড জুরি কক্ষে এক বৈঠকে মিলিত হন এবং এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে জোনসের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। এ প্রতিষ...

***ঘসেটি বেগম ***

ঘসেটি বেগম নওয়াব আলীবর্দী খান-এর জ্যেষ্ঠা কন্যা। আসল নাম মেহেরুন্নেসা। নওয়াব আলীবর্দী খান তাঁর তিন কন্যাকে তাঁর বড়ভাই হাজী আহমদের তিন ছেলের সাথে বিবাহ দেন। ঘসেটি বেগমের বিবাহ হয়েছিল নওয়াজিস মুহম্মদ শাহমাত জং-এর সাথে এবং তাঁকে (শাহমাত জংকে) ঢাকার নায়েব নাজিম নিযুক্ত করা হয়েছিল। আলীবর্দী খানের কন্যা তার মর্যাদার প্রভাব প্রয়োগ করে প্রচুর ধন সম্পদ সঞ্চয় করেন। নিঃসন্তান নওয়াজিস-ঘসেটি দম্পতি সিরাজউদ্দৌলার কনিষ্ঠ ভাই ইকরামউদ্দৌলাকে পালক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে ইকরামউদ্দৌলার মৃত্যু হয় এবং তার মৃত্যুর পর নওয়াজিস অল্প কিছুদিন জীবিত ছিলেন। ঘসেটি বেগম তার স্বামীর বিপুল ধনসম্পদের মালিকানা লাভ করেন। পূর্বেকার সঞ্চিত ধনসম্পদসহ উত্তরাধিকারসূত্ রে প্রাপ্ত তার ধন সম্পদ তিনি মতিঝিল প্রাসাদে সঞ্চিত করেন। বৃদ্ধ নওয়াব তাঁর কনিষ্ঠা কন্যার পুত্র সিরাজউদ্দৌলাকে তাঁর উত্তরাধিকারী মনোনীত করলে ঘসেটি বেগম এ  মনোনয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন এবং সিরাজউদ্দৌলার পরি...