Skip to main content

Posts

Showing posts from March, 2019

পৃথিবীর প্রথম ব্যালেস্টিক মিসাইল

পৃথিবীর প্রথম ব্যালেস্টিক মিসাইল হচ্ছে জার্মানির তৈরি ভি-২ ব্যালেস্টিক মিসাইল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির বানানো এই মিসাইলকে সমগ্র মিসাইল জগতের জাতির পিতা বলা যায়। এটি বিশ্বের প্রথম গাইডেড ব্যালেস্টিক মিসাইল। ২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় এটি ছিল মিত্রবাহিনীর জন্য সাক্ষাত যমদূত। তখনকার সময়ে কেউ এধরনের অস্ত্রের কথা কল্পনাও করেনি। তাই জার্মান মিসাইলগুলো যখন মিত্রবাহিনীর ক্যাম্পে আঘাত করত তখন মিত্রবাহিনী প্রথম প্রথম বুঝতে পারত না ঠিক কোন ধরনের অস্ত্র তাদের উপর প্রয়োগ করা হচ্ছে। তাই উর্দ্ধতন অফিসারের কাছে তারা রিপোর্ট করত যে এক ধরনের গ্যাস ভর্তি পাইপ আকাশপথে উড়ে এসে তাদের ঘাটিগুলোতে আঘাত করছে। তারা প্রতিবেদনে জানায় এধরনের আক্রমন এত বেশী ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করতে হচ্ছে যে এরকম হামলা অব্যাহত থাকলে অদূর ভবিষ্যতে লন্ডন শহর বসবাসের উপযোগী থাকবেনা এবং শীঘ্রই মিত্রবাহিনীর পরাজয় ঘটবে। ফলে মিত্রবাহিনীর জেনারেলদের কপালে চিন্তার ভাঁজ বৃদ্ধি পায়। আসলেই সেই যুগে ১০০০ কেজি ওয়ারহেড নিয়ে ৮৮ কি.মি. উচ্চতায় শব্দের চেয়ে কয়েকগুন বেশী দ্রুতগতিতে উড়ে গিয়ে ৩২০ কি.মি. দূরে নিখুঁত আঘাতকারী এই অস্ত্রকে থামানোর...

চেতনা সিনহা: ব্যাংক গড়ে যিনি বদলে দিয়েছেন ভারতের গ্রামীণ নারীদের ভাগ্য

কথায়   বলে, আর্থিক স্বাধীনতা সবথেকে বড় স্বাধীনতা। ভারতের নারীরা এখনও যে সেই স্বাধীনতা পুরোপুরি পেয়েছে তা বলা চলে না। কিন্তু সেই স্বাধীনতা অর্জন করতে প্রাণপাত পরিশ্রম করছেন, এমন নারীর সংখ্যা এদেশে নেহাত কম নেই। ছোটোখাটো যা হোক, ব্যবসা বা কোনো কাজ করে তারা তিল তিল করে নিজেদের আর্থিক স্বক্ষমতাকে বাড়িয়ে চলেছেন। কিন্তু সামান্য অর্জিত অর্থকে যে তারা সবসময়ে বাঁচিয়ে রাখতে পারেন তাও নয়। ঘরে মাদকাসক্ত স্বামী সেই টাকা কেড়ে নেন; আবার এত কম সেই অর্থ যে তাকে ব্যাংকে রাখাও বেশ কষ্টকর ব্যাপার। অন্যদিকে, কিছু ধার করে যে ব্যবসাটা বড় করে রোজগারটাকেও বাড়াবে, সেটাও কার্যত অসম্ভব; কারণ, ওই সামান্য পুঁজির ব্যবসার জন্য পয়সা দিতে রাজি নয় বেশিরভাগ অর্থ সংস্থাই। তাহলে কোথায় যাবেন এই নারীরা যারা স্বনির্ভরতার স্বপ্ন দেখেন কিন্তু স্বপ্নে পৌঁছানোর পথ খুঁজে পান না? আছে, তাদেরও ভরসা করার মানুষ রয়েছে আমাদের মধ্যে। ইউএন যারা তাদের অদম্য মনের জোরে ও ইচ্ছায় অসংখ্য মানুষের জীবনেও এনেছেন এক ইতিবাচক পরিবর্তন। আজ আমরা বলব এমন একজন নারীর কথা, যিনি দেশের গ্রামীণ নারীদের কঠোর পরিশ্রম করে গড়ে তোল...

বিশ্ব বা আন্তর্জাতিক নারী দিবস

বিশ্ব বা আন্তর্জাতিক নারী দিবস (আদি নাম আন্তর্জাতিক শ্রমজীবী নারী দিবস) প্রতি বছর ৮ মার্চ তারিখে পালিত হয়। সারা বিশ্বব্যাপী নারীরা একটি প্রধান উপলক্ষ্য হিসেবে এই দিবস উদযাপন করে থাকেন। বিশ্বের এক এক প্রান্তে নারীদিবস উদযাপনের প্রধান লক্ষ্য এক এক রকম। কোথাও নারীর প্রতি সাধারণ সম্মান ও শ্রদ্ধা উদযাপনের মুখ্য বিষয় হয়, আবার কোথাও মহিলাদের আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠাটি বেশি গুরুত্ব পায়।  এ দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে মজুরি বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে চলে সরকারি লেঠেল বাহিনীর দমনপীড়ন। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে নিউইয়র্কের সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নারী সংগঠনের পক্ষ থেকে আয়োজিত নারী সমাবেশে জার্মান সমাজতান্ত্রিক নেত্রী ক্লারা জেটকিনের নেতৃত্বে সর্ব প্রথম আন্তর্জাতিক নারী সম্মেলন হল। ক্লারা ছিলেন জার্মান রাজনীতিবিদ, জার্মান কমিউনিস্ট পার্টির স্থপতিদের এক জন। ১৯১০  খ্রি...

উপেক্ষিত বৈজ্ঞানিক রাধানাথ শিকদার :: লেখক - দীপক সেনগুপ্ত

রাধানাথ শিকদারের বাল্যকাল ও শিক্ষার্জন আজ বিশ্বায়নের গতিময়তা ও কর্মচাঞ্চল্যে জনমানস বহুলাংশে বিক্ষিপ্ত। ফিরে দেখার সময় কম। শিল্প, সংস্কৃতি, সাহিত্য, বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে আমাদের প্রাচীন উৎকর্ষ ও অবদানের কথা আমরা সেভাবে মনে রাখিনি, স্বীকৃতি জানাই নি। সে অবকাশও আমাদের নেই। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিশেষ করে এই ঔদাসীন্য ও বিস্মৃতি বড় বেশি চোখে পড়ে। এরকম একটি বিস্মৃতপ্রায় নাম রাধানাথ শিকদার, অথচ তিনিই ছিলেন আধুনিক ভারতের প্রথম গণিতজ্ঞ ও বৈজ্ঞানিক। তিতুরাম শিকদারের বড় ছেলে রাধানাথ জন্মেছিলেন ১৮১৩ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবর মাসে। সঠিক তারিখ জানা যায় না, মায়ের নামও অজানাই থেকে গেছে। জোড়াসাঁকোর শিকদার পাড়ায় ব্রাহ্মণ বংশে রাধানাথের জন্ম। রাধানাথের ছিল এক ভাই ও তিন বোন। ভাই শ্রীনাথ ছিল দু’বছরের ছোট। শিকদারেরা মুসলমান আমলে প্রধান শান্তিরক্ষক হিসাবে কাজ করত। এই কাজ বংশপরম্পরায় করার জন্য তাদের মধ্যে লেখাপড়ার চর্চা অনেক কমে এসেছিল। প্রথমে রাধানাথ গ্রামেরই পাঠশালায় এবং পরে বাঙালী খৃষ্টান কমল বসুর স্কুলে ভর্তি হন। রাধানাথ তার ডায়েরিতে নিজের পড়াশোনার কথা ও তখনকার শিক্ষাদানের পদ্ধতি সম্...

সত্যজিৎ রায়

সত্যজিৎ রায় (১৯২১-১৯৯২)  আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বাঙালি চলচ্চিত্রকার; আলোকচিত্রী, চিত্রকর, শিশুসাহিত্যিক, সঙ্গীতজ্ঞ হিসেবেও সুপরিচিত। ১৯২১ সালের ২ মে তিনি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ছিল বৃহত্তর ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ জেলার মসুয়া গ্রামে। পিতা প্রখ্যাত লেখক, সম্পাদক ও আলোকচিত্রী সুকুমার রায় ছিলেন রয়াল ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব গ্রেট ব্রিটেন-এর ফেলো। তাঁর মাতা সুপ্রভা রায় ছিলেন একজন সঙ্গীতশিল্পী ও হস্তশিল্পে পারদর্শী এবং তাঁর পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীও ছিলেন প্রখ্যাত লেখক, শিশু সাহিত্যিক, চিত্রকর, আলোকচিত্রী, ব্লক ডিজাইনার এবং শিশুতোষ পত্রিকা সন্দেশ (১৯১৩)-এর সম্পাদক। জন্মের মাত্র দুই বছরের মধ্যেই পিতাকে হারিয়ে মামার আশ্রয়ে দৃঢ়চেতা মাতার তত্ত্বাবধানে সত্যজিৎ রায়ের শৈশব-কৈশোর অতিবাহিত হয়। বালিগঞ্জ সরকারি হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিক ও প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্সসহ বি.এ পাসের পর ১৯৪০ সালে সত্যজিৎ রায় শান্তিনিকেতনে ভর্তি হন। ১৯৪৩ সালে একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার কমার্শিয়াল আর্টিস্ট হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। বিজ্ঞাপনের ভাষা ও ডিজাইনে তিন...

ভিনগ্রহী স্থাপত্য

এখনও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রাচীন কালের এমন সব স্থাপত্য রয়েছে, যার ইতিহাস আংশিক জানা সম্ভব হলেও নির্মাণ প্রক্রিয়া সম্পর্কে এখনও আঁধারে আজকের বিজ্ঞান। কোনো কোনো স্থাপত্যের ক্ষেত্রে তো সম্পূর্ণই অন্ধকারে ইতিহাসবিদেরা। কিন্তু পৃথিবীর বুকে এখনও মাথা উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেসব রহস্যময় স্থাপনা! স্থাপত্যগুলো ইতিহাস, নির্মাণশৈলী এবং প্রযুক্তিসহ অনেক রহস্যই শতাব্দীর পর শতাব্দী গোপন রেখে উপহাস করছে আমাদের আধুনিক বিজ্ঞানকে। ভিনগ্রহে প্রাণ রয়েছে বলে যারা বিশ্বাস করেন তাদের দাবি, আদি সভ্যতা যদি উন্নত না হয়েই থাকে তবে এসব স্থাপত্যের পেছনে অবশ্যই বুদ্ধিমান কোনো জাতির হাত রয়েছে। তাই মূলত তাদের বিশ্বাস, এসব স্থাপত্যের পেছনে জড়িত রয়েছে এমন কোনো প্রযুক্তি যে সম্পর্কে আমাদের কোনো ধারণাই নেই। পৃথিবীর এমনই কিছু রহস্যময় স্থাপত্য নিয়ে পরিবর্তনের ধারাবাহিক আয়োজন। ইস্টার আইল্যান্ড: প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে আর দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির ২শ’ মাইল পশ্চিমে রয়েছে রহস্যময় এক দ্বীপ! নাম ইস্টার আইল্যান্ড। পৃথিবীর সবচেয়ে বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলির মধ্যে অন্যতম! দ্বীপটিতে কারা বসবাস করতো এবং কেনই বা সেখ...