Skip to main content

Posts

কাল মার্কসের বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদ ইউটোপিয়ান সমাজতন্ত্রবাদ থেকে কতখানি ভিন্ন ছিল ?

 মার্কসের বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদ ইউরোপিয়ান সমাজতন্ত্রবাদ থেকে কতটা আলাদা? এ প্রশ্নের আলোচনার আগে দেখা দরকার সমাজতন্ত্রবাদ কি? সমাজতন্ত্রবাদ এমন এক মতবাদ, যা প্রচলিত গণতন্ত্রবাদের মূলে কুঠারাঘাত করে যৌথ বা সামাজিক নিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পথ নির্দেশ করে। সমাজতন্ত্রবাদের দুটি ভাগ আছে যথা আদি বা ইউরোপিয়ান সমাজতন্ত্রবাদ ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদ। প্রথম দিকে আদি সমাজতন্ত্রবাদ এর প্রাধান্য ছিল পরবর্তীকালে এই মতবাদের ত্রুটি লক্ষ্য করে মার্কস বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদ প্রচার করেন।  আদি সমাজতন্ত্রী প্রবক্তাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন সেন্ট সাইমন, চার্লস ফুরিয়ার এবং রবার্ট কোয়েল ।  এদের দার্শনিক মতবাদ আধুনা নানাভাবে সমালোচিত হয়। এদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হল এরা ছিলেন অবাস্তববাদী ও কল্পনাপ্রবণ ।  বাস্তব পরিস্থিতির সাথে তাদের পরিচয় ছিল না কিংবা বাস্তব আর্থ-রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে তারা লঘুভাবে পরিবর্তনযোগ্য মনে করেছিলেন। তারা মনে করতেন শ্রেণী সংঘাত বা শ্রেণিবিদ্বেষ নয় শ্রেণী সহযোগিতার মধ্য দিয়েই সামাজিক সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে...

ভারতের ইতিহাস : Quiz : Mock Test

*সকল প্রশ্নের উত্তর শেষে দেওয়া আছে।  ১) "বেদে ফিরে যাও"- এই উক্তিটি কে করেছেন a) গুরু নানক দেব b) দয়ানন্দ সরস্বতী c) স্বামী বিবেকানন্দ d) রাজা রামমোহন রায় ২) "স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার আমি তা অর্জন করবোই"- এই স্লোগানটি কেউ উত্থাপন করেন? a) মহাত্মা গান্ধী b) সুভাষচন্দ্র বসু c) বালগঙ্গাধর তিলক d) লালা লাজপত রাই ৩) ঐতিহাসিক লখনৌ চুক্তির পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাকে 'হিন্দু মুসলমান ঐক্যের অগ্রদূত' অক্ষন প্রদান করা হয়েছিল? a) স্যার সৈয়দ আহমেদ খান b) ফজলুল হক c) স্যার সৈয়দ সরাফউদ্দিন কাদিরি d) মহম্মদ আলী জিন্না ৪) নিম্নলিখিত ঘটনাগুলোর সঠিকক্রম উল্লেখ কর। i : ভারতছাড়ো আন্দোলন ii : সিমলা অধিবেশন  iii : পুনা চুক্তি iv : মন্ত্রী মিশন a) ii iv i iii b) iii iv ii i c) iii i ii iv d) iv ii iii i ৫) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে চম্পারণে মহাত্মা গান্ধী কোন আন্দোলনের শুরু করেন ? a) সত্যাগ্রহ b) অসহযোগ আন্দোলন c) ভারত ছাড়ো আন্দোলন d) স্বদেশী আন্দোলন ৬) বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন ? a) রবার্ট ক্লাইভ b) উইলিয়াম বেন্টিং c) ওয়ারেন হেস্টিংস d) চার্লস কর্নওয়ালিশ ৭) বেনারস হি...

স্বাধীন ভারতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা

স্বাধীন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ। স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলাল নেহেরু। স্বাধীন ভারতের প্রথম স্পিকার ছিলেন গণেশ বাসুদেব মাভলঙকর স্বাধীন ভারতের প্রথম মহিলা স্পিকার ছিলেন মীরা কুমার। স্বাধীন ভারতের প্রথম জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন আচার্য যে.বি. কৃপালিনী। স্বাধীন ভারতের প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিযুক্ত মহিলা দূত ছিলেন অরুনা আসফ আলি। স্বাধীন ভারতে প্রথম ভারতীয় নোবেল পুরস্কার জয়ী নারী হলেন মাদার টেরিজা। স্বাধীন ভারতের প্রথম বিদেশী গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন। স্বাধীন ভারতের প্রথম ভারতীয় গভর্নর জেনারেল ছিলেন চক্রবর্তী রাজা গোপালাচারী। স্বাধীন ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। স্বাধীন ভারতের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি ছিলেন প্রতিভা পাটেল। স্বাধীন ভারতের প্রথম মহিলা বিচারপতি ছিলেন এম ফতিমা বিবি। স্বাধীন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম দলিত সভাপতি ছিলেন দামোদরম সঞ্জীভাইয়া। স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন কমিশনার ছিলেন সুকুমার সেন। স্বাধীন ভারত...

কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দ

চতুর্বেদ : ঋকবেদ , সামবেদ, যজুর্বেদ, অথর্ববেদ ত্রিপিটক : বিনয় পিটক, সূত্র পিটক এবং অভিধর্ম পিটক চতুর্যাম : অহিংসা,সত্য, অচৌর্য এবং অপরিগ্রহ পঞ্চশীল : অহিংসা,  সত্যবাদিতা,  অচৌর্য,  অন্যায় না করা, খারাপ আচরণ না করা ষড়দর্শন : সংখ্যাদর্শন, যোগ দর্শন, ন্যায় দর্শন, বৈশেষিক দর্শন, পূর্ব মীমাংসা এবং উত্তর মীমাংসা চতুরাশ্রম : ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ, সন্ন্যাস পঞ্চভারত : পাঞ্জাব, কনৌজ, বাংলা, বিহার/মিথিলা এবং উড়িষ্যা ত্রিরত্ন : পম্পা, পন্না, রন্না অষ্টাঙ্গিক মার্গ : সৎ বাক্য, সৎ কার্য, সৎ জীবন, সৎ চেষ্টা, সৎ চিন্তা, সৎ সচেতনতা, সৎ সংকল্প, সৎ দর্শন বা সৎ সমাধি । পঞ্চনদ  : শতদ্রু, ইরাবতী, বিপাশা, ঝিলাম এবং চন্দ্রভাগা সপ্তসিন্ধু : গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী, শতদ্রু, মরুদ্ধধা, আর্ষিকীয়, সিন্ধু নবরত্ন : কালিদাস, ধন্বন্তরি, খপনক , শঙ্কু, বেতালভট্ট, ঘটকপর, অমর সিংহ, বরাহমিহির, বররুচি পঞ্চরত্ন : শরন, ধোয়ী, গোবর্ধন, উমাপতিধর ও জয়দেব ত্রিরত্ন : সৎজ্ঞান, সৎবিশ্বাস এবং সৎকর্ম পঞ্চভিক্ষু : কৌন্ডিন্য, ভদ্রিক, অশ্বজিৎ, বাষ্প, মহানাম ষোড়শ মহাজনপদ ...

রেনেসাঁ যুগের বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক বিপ্লব

রেনেসাঁ যুগে শুধুমাত্র সাহিত্য, ভাস্কর্য, চিত্রকলা ইত্যাদির ক্ষেত্রেই বিপ্লব আসেনি, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও আমূল পরিবর্তন তথা বিপ্লবিক চিন্তাধারার বিকাশ ঘটে । উদ্ভিদবিদ্যা , প্রাণিবিদ্যা, ভূগোল ইত্যাদি সবকিছুতেই নতুনত্বের গন্ধ ছড়ায়। মহাকাশ বিদ্যা তথা জ্যোতির্বিদ্যার নবযুগ শুরু হয় । Hale বলেছেন ষোড়শ শতাব্দীর শেষদিকে রেনেসাঁস পর্বের বিজ্ঞানে অনুসন্ধিৎসার এক নব যুগ শুরু হয় । কোপার্নিকাসের ব্যাখ্যা ও তার উত্থান আমরা এই সময়ই দেখি । রেনেসাঁ পর্বে ভূগোলের উন্নতির মধ্য দিয়ে নতুন নতুন দেশ আবিষ্কার করার এক উদ্দাম চেষ্টা শুরু হয়। বার্থালোমিউ দিয়াজ, কলম্বাস, ভাস্কো দা গামা, ভেসপুচি, ফার্দিনান্দ ম্যাগলান প্রমুখের আবিষ্কার পৃথিবীর পুরনো মানচিত্রের পরিবর্তন করে নতুন মানচিত্রের সৃষ্টি করেছিল। সেই মানচিত্রের মধ্যে এমন এমন দেশের নাম যুক্ত হয় যেগুলি সম্পর্কে পূর্বে কোন ধারনাই ছিল না ।  ষোড়শ শতাব্দীর বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার জ্যোতির্বিদ্যাকে নতুন ব্যাখ্যা দেয় । এতদিন পর্যন্ত টলেমীয় তত্ত্ব শ্রদ্ধার সঙ্গে গৃহীত হচ্ছিল , এর একটা কারণ ছিল চার্চের ধারণার সঙ্গে অনেকটা সঙ্গতিপূর্ণ ছিল টলেমীর ব্যবস্থা । ষো...

প্রাচীন ভারতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ও জীবনচরিত

গ্রন্থের নাম : গ্রন্থকার অর্থশাস্ত্র : কৌটিল্য  অষ্টাধ্যায়ী : পাণিনি  মহাভাষ্য : পতঞ্জলি  বৃহৎকথা : গুণাঢ্য মৃচ্ছকটিকম : শূদ্রক স্বপ্নবাসবদত্তা : ভাস  মুদ্রারাক্ষস : বিশাখ দত্ত  বৃহৎসংহিতা : বরাহমিহির  সূর্যসিদ্ধান্ত : আর্যভট্ট  পঞ্চসিদ্ধান্তিকা : বরাহমিহির সিদ্ধান্ত শিরোমণি : ভাস্করাচার্য  রাজতরঙ্গিনী : কলহান  প্রবন্ধ চিন্তামণি : মেরুতুঙ্গ প্রবন্ধকোষ : রাজশেখর কথাসরিৎ সাগর : সোমদেব ভট্ট  চন্দ্রচূড় চরিত : উমাপ্রতিধর বর্ধমান চরি ত : আসসা  হরিচরিত : চতুর্ভুজ  নৈকর্ষচরিত : শ্রী হর্ষ  কৃষ্ণ চরিতম : সমুদ্রগুপ্ত  উত্তর রামচরিত : ভবভূতি  দশকুমারচরিত : দন্ডী  পার্শ্বনাথ চরিত : ভবদের সুরী মাধ্যমিক সুত্র : নাগার্জুন  মিতাক্ষরা : বিজ্ঞানেশ্বর সুশ্রুত সংহিতা : সুশ্রুত  ব্রহ্ম সিদ্ধান্ত : ব্রহ্মগুপ্ত  চিকিৎসা সংগ্রহ : চক্রপানি দত্ত  চরকসংহিতা : চরক  দায়ভাগ : জীমূতবাহন  মাধব নিদান : মাধবকার  শব্দ প্রদীপ : সুরেশ্বর  বৃক্ষায়ুর্বেদ : সুরেশ্বর হর্ষচরিত ...

বৈজ্ঞানিক বিপ্লব - প্রথম পর্ব

        কোপার্নিকাস আকাশ দেখছেন , ছবির সৌজন্যে: উইকিপিডিয়া  পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ থেকেই ইউরোপের বিজ্ঞানের জগতে নতুন চেতনার উদ্ভব করতে থাকে ‌। এক্ষেত্রে গ্রিক এবং আরবীয় বিজ্ঞান চর্চা ইউরোপের এই বিজ্ঞানের জগতের উন্নতির ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা নিয়েছিল । ইউরোপের বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের দুটি দিক রয়েছে । একদিকে এটি যেমন বিজ্ঞানের ব্যবহারিক জগতে এক বিপুল পরিবর্তন এসেছিল ঠিক অন্যদিকেই বিজ্ঞান দর্শনের ক্ষেত্রে পূর্বের চিন্তাধারার মধ্যেও এক বিপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছিল ।  সমগ্র ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দী জুড়ে ইউরোপের এই বিজ্ঞান বিপ্লব চলতে থাকে এবং ধীরে ধীরে এর শক্তি বৃদ্ধি হতে থাকে যা পরবর্তী পর্যায়ে ইউরোপের শিল্প বিপ্লবের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল । অর্থাৎ আমরা বলতে পারি ইউরোপের শিল্প বিপ্লবের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক বিপ্লবেরও একটা বড় অবদান রয়েছে। মহাবিশ্ব ও মানব শরীর এই সময় বিজ্ঞান গবেষণার মূল কেন্দ্রে চলে আসে । আলোচনা হতে থাকে জড় পদার্থের সঙ্গে বিশ্বের সম্পর্কের বিষয়টি, অর্থাৎ প্রকৃতি বিজ্ঞানচর্চার আগ্রহ বৃদ্ধি ঘটে । আবার এর সাথে চলতে থাকে প্রাকৃতিক এবং স্বর্গীয় ব...