Skip to main content

Posts

Showing posts from January, 2018

কোসলি কবি হলধর নাগ

ক্লাস থ্রি পাশ। অথচ তাঁকে নিয়েই পিএইচডি। কেন জানেন? হলধর নাগ। দরিদ্র পরিবারে তাঁর জন্ম। তৃতীয় শ্রেণির পরে আর লেখাপড়া করা হয়নি। এখন তাঁকে নিয়ে একের পর এক গবেষণা হয়ে চলেছে। . ক্লাস থ্রি পাশকে নিয়ে পিএইচডি! ১৯৫০ সালে ওড়িষার বারগড় জেলায় এক দরিদ্র পরিবারে জন্ম। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় মৃত্যু হয় বাবার। বয়স তখনমাত্র ১০। মাকে সাহায্য করতে স্থানীয় একটি মিষ্টির দোকানে কাজ নেন। বছর দুই পরে একটি হাইস্কুলে রান্নার কাজ দেন। এর পরে সেখানেই একটি স্টেশনারি ও খাবারের দোকান খোলেন। এটাই হলধর নাগের আসল পরিচয় নয়। হলধর প্রথম কবিতা লেখেন ১৯৯০ সালে। ‘ধব বরগাছ’ অর্থাৎ ‘বৃদ্ধ বট গাছ’ নামে কবিতাটি স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর পরে কবিতা লেখায় উৎসাহ বাড়তে থাকে। প্রশংসাও পেতে শুরু করেন। লিখেছেন অসংখ্য কবিতা। ওড়িশায় ক্রমশ তিনি সেলিব্রেটি হয়ে ওঠেন। এবার রাষ্ট্রপতির হাত থেকে পদ্মশ্রী পুরস্কার নেওয়ার পরে তো জাতীয় স্তরের সেলিব্রেটি। কিন্তু পদ্মশ্রী পাওয়ার আগেই তাঁকে নিয়ে তথ্যচিত্র তৈরি হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি তার জীবনী নিয়ে গবেষণা করছেন পাঁচ শিক্ষার্থী। সাধারণ গবেষণা নয়, পিএইচডি ডিগ্রির জন্য গবেষণা। ত...

সুভাষ জন্মোৎসবে লেখক: নরেন্দ্র দেব

শৃঙ্খলিত      জননীর স্নেহ-স্নিগ্ধ কোলে শুভ শঙ্খ রোলে  প্রথম যে দিন  হে নবীন, এসেছিলে তুমি  সেদিন তোমার   জন্মভূমি একথা ভাবেনি   কল্পনায়, একদিন বজ্রাগ্নি-প্রভায়,  এই বালারুণ লয়ে তার তেজ-দীপ্ত জীবন   তরুণ, উজল করিয়া দিবে এদেশের পান্ডুর আকাশ,  দূর করি অন্ধকার-অবরুদ্ধ বিষাক্ত   বাতাস দানিবে নির্জীব মনে সঞ্জীবনী নতুন পরান,  নব যৌবনের   গান দীপ্ত দীপকের সুরে উচ্চকন্ঠে গাহি, আনিতে সে   বাহি জননীর মুক্তির আশ্বাস। (সংগৃহীত) ***এই ব্লগ পত্রিকায় লেখা পাঠানোর জন্য ও পুরষ্কার সংক্রান্ত নির্দেশনামার জন্য ক্লিক করুন: http://itihasoitihasik.blogspot.in/2018/01/blog-post_46.html

নজরুলের প্রতি সুভাষ লেখক: সুমন্ত ঘোষ

কাজী নজরুল ইসলাম ও সুভাষচন্দ্র বসু উভয়ই যেন বিদ্রোহের অপর নাম। বাংলার বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুলের কবিতা  ও গান সুভাষচন্দ্রকে শিহরিত, পুলকিত, রোমাঞ্চিত করতো। সেই প্রাণমাতানো গানের যুগে যখন ওভারটুন হল, রামমোহন লাইব্রেরি ও ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউটে একাধিক চ্যারেটি কনসার্টে কবি নজরুল স্বকন্ঠে গান গেয়েছিলেন দেশবন্ধু ও সুভাষের উপস্থিতিতে। নজরুলের একটি গান "শিখল  পড়ার ছল" শুনে সুভাষ নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি সেদিন, দেশপ্রেমের বলে নিজেকে আরো বলিয়ান করেছিলেন তিনি; আর দেশবন্ধু! তারও চোখ ছলছল করে উঠেছিল মুহূর্তে। লেখক সুমিত মুখোপাধ্যায় তাই তার প্রবন্ধতে বলেছেন, গানটির মধ্যে কেবল বাংলায় সুপ্তোত্থিত যুবশক্তির অন্তর্বহ্নি প্রজ্জ্বলনের আহ্বান নয়, সুভাষের নিজের ছায়াও প্রতিফলিত হয়েছে। ১ নজরুলের একটি কবিতা "সব্যসাচী" সেখানেও যেন আমরা সুভাষের ছায়া পেয়ে থাকি ছত্রে ছত্রে, তিনিই ছিলেন 'যুগশস্ত্রপানী', যিনি এসেছেন নবীনদের দীক্ষা দিতে ও ভারতমাতাকে মুক্ত করতে। আবার শরৎচন্দ্র এর উপন্যাস পথের দাবী তেও "মুক্তির অগ্রদূত"  হিসেবে তিনি যেন সুভাষকেই বেছে নিয়েছিলেন। ২ সালটা ছিল ১...

শশাঙ্ক লেখক: পি.কে ভট্টাচার্য

শশাঙ্ক প্রাচীন বাংলার প্রথম গুরুত্বপূর্ণ নরপতি। নরপতি হিসেবে শশাঙ্ক অত্র অঞ্চলের ইতিহাসে বিশিষ্ট স্থান দখল করে আছেন। শশাঙ্ক ৬০০ থেকে ৬২৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে রাজত্ব করেন বলে ধারণা করা হয়। মেদিনীপুর থেকে তাঁর ৮ম ও ১০ম রাজ্যাংকে উৎকীর্ণ দুটি লিপি এবং তারিখবিহীন অপর একটি লিপি খড়গপুরের নিকট এগ্রা হতে আবিষ্কৃত হয়েছে। এছাড়া শশাঙ্কের অধীনস্থ গঞ্জামের (উড়িষ্যা) রাজা মাধববর্মার তাম্রশাসন (৬১৯ খ্রিস্টাব্দের), হর্ষবর্ধনের বাঁশখেরা ও মধুবন তাম্রশাসন এবং কামরূপের রাজা ভাস্কর বর্মনের নিধানপুর তাম্রশাসন থেকে তাঁর সম্পর্কে জানা যায়। শশাঙ্কের উৎকীর্ণ স্বর্ণ ও রৌপ্যমুদ্রাও পাওয়া গেছে। গুপ্তদের পতন ও শশাঙ্কের উত্থানের মধ্যবর্তী সময়ে বাংলায় বেশ কিছু স্বাধীন শাসকের উদ্ভব ঘটে। এঁদের অস্তিত্ব সম্পর্কে জানা যায় অল্প কিছু লিপি এবং স্বর্ণ মুদ্রার ভিত্তিতে। রোহতাসগড়ে প্রাপ্ত সিলের ছাঁচে লিখিত ‘শ্রী মহাসামন্ত শশাঙ্ক’, বাণভট্টের সমসাময়িক সাহিত্য উপকরণ, চৈনিক তীর্থযাত্রী হিউয়েন-সাং এর বিবরণ এবং বৌদ্ধ গ্রন্থ আর্যমঞ্জুশ্রীমূলকল্প শশাঙ্কের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। শশাঙ্কের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে...

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস লেখক: অশোক কুমার মুখোপাধ্যায়

ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস কতিপয় জাতীয় নেতার উদ্যোগে ১৮৮৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল। ক্রমে এটি সম্প্রসারিত হয়ে বিশ শতকের গোড়ার দিক থেকে একটি জাতীয়তাবাদী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। বড়লাট রিপনের আমলে ইলবার্ট বিলের বিরুদ্ধে অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের আন্দোলনকালে প্রতীয়মান হয় যে, ব্রিটিশ শাসকদের সঙ্গে প্রতিনিধিত্বশীল আলোচনার জন্য ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত ভারতীয় রাজনীতিবিদদের প্রয়োজন একটি সর্বভারতীয় রাজনৈতিক সংগঠনের। এমন একটি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টির উদ্যোগ নেন একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিটিশ আই.সি.এস অফিসার এ.ও হিউম। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল এমন একটি দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যার মাধ্যমে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত উচ্চশ্রেণীর ভারতীয়রা ব্রিটিশ শাসন সম্পর্কে তাদের ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ প্রকাশ করতে পারে। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী যিনি ১৮৭৬ সালে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন এবং ১৮৮৩ সালে ন্যাশনাল কনফারেন্স গঠন করেছিলেন। হিউমের উদ্যোগের পেছনে বড়লাট ডাফরিনের সমর্থন ছিল, কারণ তিনি চেয়েছিলেন এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা ব্রিটিশের ‘অনুগত বিরোধী দল’ হিসেবে কাজ করতে পারে। একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যারিস্টার এবং ...

সবুজ বিপ্লব লেখক: জাহাঙ্গীর আলম

সবুজ বিপ্লব (Green Revolution)  বিংশ শতাব্দীর শেষার্ধে উচ্চ ফলনশীল বীজ, সার এবং সেচের পানি ব্যবহারের মাধ্যমে গম, ধান, ভুট্টা প্রভৃতির উৎপাদনে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অতি দ্রুত যে বিরাট সাফল্য অর্জিত হয়েছে তাকে ‘সবুজ বিপ্লব' হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এখানে বিপ্লব শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে দ্রুত পরিবর্তন অর্থে। এ পরিবর্তন এসেছে প্রচলিত (Conventional) পদ্ধতির চাষাবাদ থেকে অধিক উৎপাদনক্ষম নতুন প্রযুক্তির চাষাবাদে রূপান্তরের মাধ্যমে। এই পরিবর্তন সাধিত হয়েছে নিরবে-নিভৃতে, বিশ্বের অসংখ্য মানুষের ক্ষুধা নিবারণের জন্যে। সবুজ শব্দটি ব্যবহূত হয়েছে উৎপাদিত শস্যের কাঁচা রং হিসেবে। শস্য যৌবনপ্রাপ্ত হলে এর নান্দনিক সবুজ রং প্রকাশ পায়। নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে শস্য উৎপাদনের যে দ্রুত পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তাকে সর্বদাই যৌবনদীপ্ত রাখার জন্য বিপ্লবের সাথে সবুজ শব্দটি একিভূত করে ১৯৬৮ সালের ৮ই মার্চ ইউসএইড (USAID)-এর পরিচালক উইলয়াম, এস. গাউড একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সমিতির সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময় দ্রুত ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির কৌশলকে ‘সবুজ বিপ­ব’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘এট...

নাম ও উপনাম / উপাধি ও প্রকৃত নাম

● শ্রেনিক-বিম্বিসার ●কুনিক-অজাতশত্রু ●অগ্রসেন-মহাপদ্মনন্দ ●স্যান্ড্রোকোট্টাস-চন্রগুপ্ত মৌর্য ●দেবনামপ্রিয় প্রিয়দর্শী-অশোক ●অমিত্রঘাত-বিন্দুসার ●বিক্রমাদিত্য-দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ●বাতাপিকোন্ডা--প্রথম নরসিংহ বর্মন ●শিলাদিত্য-হর্ষবর্ধন ●লাখ বক্স-কুতুবউদ্দিন আইবক ●দেবপুত্র- কনিষ্ক ●গোঙ্গাইকোন্ডা-রাজেন্দ্র চোল ●অন্ধ্রভোজ-কৃষ্ণদেব রায় ●প্রিন্স অফ পিলগ্রিম-হিউয়েনসাং ●সকলোত্তরপথনাথ-হর্ষবর্ধন ●উত্তরাপথস্বামী-দেবপাল ●আলমগীর- ঔরঙ্গজেব ●দ্বিতীয় অশোক-কনিষ্ক ●মহাপরাক্রমাঙ্ক--সমুদ্রগুপ্ত ●শকারি-দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ●দ্বিতীয় শিবাজী--বাসুদেববলবন্ত ফাড়কে ●নেপোলিয়নের ক্ষুদ্র সংষ্করণ-রনজিৎ সিংহ ●ব্রহ্মানন্দ-কেশবচন্দ্র সেন ●আঙ্কেল হো-হো চি মিন ●প্রাচ্যের বুলবুল-সরোজিনী নাইডু ●ম্যান অফ ডেস্টিনি-নেপোলিওন ●জিন্দাপীর- ঔরঙ্গজেব ●সুলতান ই আজম-ইলতুতমিস ●ভগবানের নিপীড়নযন্ত্র-চেঙ্গিজ খা ●তেমুচিন-চেঙ্গিজ খাঁ ●লোকমান্য-বাল গঙ্গাধর তিলক ●মহামান্য-মদনমোহন মালব্য ●প্রিন্স অব বেগার-মদন মোহন মালব্য ●গুনরাজ খাঁ-মালাধর বসু ●জাতির জনক/মহাত্মা-করমচাঁদ গান্ধী ●নেতাজি/প্রিন্স অব প...

প্রতিষ্ঠাতা ও শেষ সম্রাট

● মোঘল বংশের প্রতিষ্ঠাতা বাবর । ● মোঘল বংশের শেষ সম্রাট দ্বিতীয়বাহাদুর শাহ । ● মোঘল বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট আকবর । ● সেন বংশের প্রতিষ্ঠাতা সামন্ত সেন । ● সেন বংশের শেষ সম্রাট সূর্য সেন। ● সেন বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট বিজয় সেন। ● গুপ্ত বংশের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীগুপ্ত । ● গুপ্ত বংশের শেষ সম্রাট বিজয় গুপ্ত । ● গুপ্ত বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট সমুদ্রগুপ্ত । ● লোদী বংশের প্রতিষ্ঠাতা বহলুললোদী । ● লোদী বংশের শেষ সম্রাট ইব্রাহিমলোদী । ● লোদী বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট ইব্রাহিমলোদী । ● সাতবাহন বংশের প্রতিষ্ঠাতা সিমুকসাতবাহন । ● সাতবাহন বংশের শেষ সম্রাট যজ্ঞশ্রীসাতকর্ণী । ● সাতবাহন বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাটগৌতমীপুত্র সাতকর্ণী । ● তুঘলক বংশের প্রতিষ্ঠাতাগিয় াসউদ্দিন তুঘলক । ● তুঘলক বংশের শেষ সম্রাট নাসিরুদ্দিনমামুদ । ● তুঘলক বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট মহম্মদ বিনতুঘলক । ● পুষ্যভূতি বংশের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাকরবর্ধন । ● পুষ্যভূতি বংশের শেষ সম্রাট হর্ষবর্ধন । ● পুষ্যভূতি বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট হর্ষবর্ধন । ● সৈয়দ বংশের প্রতিষ্ঠাতা খিজিরখাঁ । ● সৈয়দ বংশের শেষ সম্রাট আলাউদ্দিনআলম শাহ । ● সৈয়দ বংশের শ্রেষ্...

কার্বন-১৪

কার্বন-১৪ হলো কার্বনে তেজষ্ক্রীয় রূপভেদ। এই কার্বন-১৪ দিয়ে কোনো বিশেষ প্রকারের তেজষ্ক্রীয় কার্বন কোনো বস্তু কতটুকু ধারণ করেছে, তার ভিত্তিতে প্রত্নবস্তুর বয়স নির্ধারণ করা যায়। ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দে উইলার্ড লিবি নামের এক মার্কিন বিজ্ঞানী প্রথম আবিষ্কার করলেন যে, জৈব বস্তুসামগ্রী, যেমন কাঠ, কাঠকয়লা, হাড়, অতসী, শিং এবং পীট, যেগুলো একসময় কোনো না কোনো প্রাণসত্তার অংশ ছিলো, সেগুলো প্রকৃতি থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কার্বন-১৪ গ্রহণ করে। এই পরিমাণ পরবর্তিতে কতটুকু ক্ষয়প্রাপ্ত হয়েছে, তা নির্ণয় করে বস্তুটির সঠিক বয়স নির্ণয় করা যেতে পারে। কার্বন-১৪ পদ্ধতির বহুল ব্যবহার হয়ে থাকে প্রত্নবস্তুে। গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে জীবিত গাছপালা বায়ুমণ্ডল থেকে প্রায় সমপরিমাণ তেজষ্ক্রীয় কার্বন১৪ এবং অতেজষ্ক্রীয় কার্বন১২ শোষণ করে, আর যেসব প্রাণী এই উদ্ভিজ্জাত খাদ্য গ্রহণ করে তারাও এই দুই প্রকার কার্বন গ্রহণ করে। মৃত্যু হয়ে গেলে প্রাণী আর কার্বন শোষণ করতে পারে না। তখন এর কলাতন্ত্রে আর কোষগুলোতে অবস্থানকারী কার্বন-১৪ ক্ষয়প্রাপ্ত হতে বা এর তেজষ্ক্রীয়তা হারিয়ে যেতে...

সুদর্শন চক্র 

সুদর্শন চক্র  হচ্ছে একটি ধারালো অস্ত্র, যার ১০৮টি ধারালো ধার রয়েছে। হিন্দু ধর্মমতে চক্রটি হিন্দু দেবতা ভগবান বিষ্ণু ব্যবহার করেন। চক্রটি ভগবান   বিষ্ণু তাঁর ডান দিকের উপরের হাতে ধারণ করেন এবং তিনি অন্য তিনটি হাতে যথাক্রমে শংখ, গদা ও পদ্ম ধারন করেন ।  পুরাণ মতে অন্যায়-অশুভ শক্তির দমন এবং শান্তি প্রতিষ্টার জন্য বিষ্ণু সুদর্শন চক্র ব্যবহার করেন। বিভিন্ন সময়ে তিনি চক্রটির মাধ্যমে অনেক অসুর বধের মাধ্যমে স্বর্গ এবং মর্ত্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছেন।  সুদর্শন  শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে এসেছে। সংস্কৃত  সু এবং দর্শন শব্দের সমন্বয়ে সুদর্শন শব্দটি গঠিত হয়েছে। এখানে  সু  (सु)অর্থ  "ভালো বা মঙ্গল'' এবং  দর্শন (दर्शन) অর্থ "দৃশ্যমান" । অর্থাৎ সুদর্শন শব্দের অর্থ "মঙ্গলময় দর্শন।" আবার  চক্র  শব্দটি সংস্কৃত  চো  এবং  কু  এর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। এখাএন  চো  (चृ:) শব্দের অর্থ "চলাচল" এবং কু শব্দের অর্থ সম্পাদন করা। অর্থাৎ, চক্র অর্থ এমন কিছু য...

ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস

ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাস দক্ষিণ এশিয়া প্রস্তর যুগ ৭০,০০০-৩৩০০খ্রীষ্টপূর্ব •  মেহেরগড় • ৭০০০-৩৩০০খ্রীষ্টপূর্ব হরপ্পা ও মহেঞ্জদর সভ্যতা ৩৩০০-১৭০০খ্রীষ্টপূর্ব হরপ্পা সংস্কৃতি ১৭০০-১৩০০খ্রীষ্টপূর্ব বৈদিক যুগ ১৫০০-৫০০খ্রীষ্টপূর্ব লৌহ যুগ ১২০০-৩০০খ্রীষ্টপূর্ব •  ষোড়শ মহাজনপদ • ৭০০-৩০০খ্রীষ্টপূর্ব •  মগধ সাম্রাজ্য • ৫৪৫খ্রীষ্টপূর্ব •  মৌর্য সাম্রাজ্য • ৩২১-১৮৪খ্রীষ্টপূর্ব মধ্যকালীন রাজ্যসমূহ ২৫০খ্রীষ্টপূর্ব •  চোল সাম্রাজ্য • ২৫০খ্রীষ্টপূর্ব •  সাতবাহন সাম্রাজ্য • ২৩০খ্রীষ্টপূর্ব •  কুষাণ সাম্রাজ্য • ৬০-২৪০ খ্রীষ্টাব্দ •  গুপ্ত সাম্রাজ্য • ২৮০-৫৫০ খ্রীষ্টাব্দ •  পাল সাম্রাজ্য • ৭৫০-১১৭৪ খ্রীষ্টাব্দ •  রাষ্ট্রকুট • ৭৫৩-৯৮২ •  ইসলামের ভারত বিজয় • •  সুলতানী আমল • ১২০৬-১৫৯৬ •  দিল্লি সালতানাত • ১২০৬-১৫২৬ •  দাক্ষিনাত্যের সুলতান • ১৪৯০-১৫৯৬ হৈসল সাম্রাজ্য ১০৪০-১৩৪৬ কাকতীয় সাম্রাজ্য ১০৮৩-১৩২৩ আহমন সাম্রাজ্য ১২২৮-১৮২৬ বিজয়নগর সাম্রাজ্য ১৩৩৬-১৬৪৬ মুঘল সাম্রাজ্য ১৫২৬-১৮৫৮ মারাঠা সাম্রাজ্য ১৬৭৪-১...