Skip to main content

ইতিহাসের একটি বিখ্যাত প্রত্নতত্ত্ব

বর্তমান যুগ হচ্ছে বিজ্ঞানের যুগ, প্রযুক্তির যুগ। এই যুগে এসে মানুষ হতে চায় আরো গতিশীল, আরো সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চায়। কিন্তু পুরনোকে ভুলতে না পারা, পুরনোকে নতুনভাবে জানার ইচ্ছা মানুষের আদিম একটি প্রবৃত্তি।তাই তো প্রত্নতাত্ত্বিকেরা হন্যে হয়ে খোঁজ করেন নতুন কোন কিছুর,নতুন কোন অজানাকে জানা।
আজ আপনাদের জন্য আলোচনা করা হবে বিখ্যাত এইসব আবিষ্কারের প্রথম পর্বঃ
রাজা তুতের কবরঃ
ঈজিপ্টের প্রতাপশালী এই রাজার কবর বা ব্যুরিয়াল চেম্বার আবিষ্কার করা হয় ১৯২২ সালে।ব্রিটিশ ঈজিপ্টোলজিস্ট হাওয়ার্ড কার্টারের পরিচালনায় একটি দল ফারাও তুতের এই কবরটি আবিষ্কার করার দিকে ধাবিত হয়।
তুতেনখামেন আসলে কে ছিলেনঃ
যিশুর জন্মের ১৩৩২ সাল আগে তুতেনখামেন ক্ষমতায় আসেন। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর।আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে, ক্ষমতায় আসার ঠিক ৯ বছরের মাথায় তুতেনখামেন মৃত্যুবরণ করেন।তার অকস্মাৎ মৃত্যু আমাদের এই ধারণা দেয় যে তার কবর কেন এত ছোট আকৃতির কিংবা এত তাড়াহুড়োর ছাপ নিয়ে তৈরি করা হয়।প্রত্নতাত্ত্বিকেরা গবেষণা করে বলেছেন যে, তুতকে যখন কবর দেয়া হয়, তখন তার দেয়ালের রং ছিল কাঁচা।তা ঠিকমত শুকোয় নি।কিসের এত তাড়া ছিল ঈজিপশিয়ানদের? প্রাচীন রাজার প্রতি তারা কি ন্যূনতম সম্মান দেখাতে পারত না, নাকি এই পেছনে রয়েছে গভীর কোন রহস্য?
কি পাওয়া গিয়েছিল তুতের কবরেঃ
তুতের কবরে কার্টার যখন তার দলের অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে প্রথম প্রবেশ করেন,তারা নানা ধরণের গুপ্তধনের সন্ধান পান।রাজার মমির দু’পাশে নিকষ কালো রংএর দুটি এফিজি ছিল (এফিজি হচ্ছে প্রাচীন ঈজিপশিয়ানদের মতে রাজাকে মৃত্যুর পর পাহারা দেবার জন্য প্রহরী), এছাড়াও সোনার পাতে মোড়ানো নানা ধরণের জীবজন্তুর মমি ছিল।কারণ, ঈজিপশিয়ানরা বিশ্বাস করত,এসব জীবজন্তু পরকালে তাদের প্রভুকে কখনো একা থাকতে দেবে না।এই কবরে গুপ্তধন এতই দামী ছিল যে কার্টার কবরে হানাদেয়াকারী ডাকাতদের হাত থেকে রক্ষা করতে একটি মিথের উদ্ভব করেন। তিনি লিখে দেন যে যারা কবরের শান্তি নষ্ট করবে বা চুরি করবে,তাদের জন্য নেমে আসবে অভিশাপ।
কিন্তু এই অভিশাপ অকুতোভয় প্রত্নতাত্ত্বিকদের নিস্তার করতে পারে নি আরো নানা ধরণের গবেষণাকর্ম চালানোর জন্য।
সূত্রঃ লাইভ সাইন্স

Comments

Popular posts from this blog

আদি সমাজতন্ত্র বাদী বা কাল্পনিক সমাজতন্ত্র লেখক- সুমন্ত ঘোষ

সমাজতন্ত্রবাদ একটি বিশেষ অর্থনৈতিক মতবাদ শিল্প বিপ্লবের প্রসারের সাথে সাথে বিভিন্ন দেশে কয়েকজন খ্যাতনামা সমাজতান্ত্রিক এর আবির্ভাব হয় । এই সমস্ত সমাজতান্ত্রিক কল্পনা করেছিলেন এমন এক সমাজ ব্যবস্থার যেখানে সকলেই নিজ নিজ যোগ্যতা অনুসারে কাজ করবে এবং সকলের শ্রম থেকে পাওয়া আয় সকলের মধ্যে ন্যায্যভাবে বন্টন করা হবে। মূলত এই মতবাদ প্রচলিত গণতন্ত্রবাদের মূলে কুঠারাঘাত করে যৌথ বা সামাজিক নিয়ন্ত্রণ এর ভিত্তিতে নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পথ নির্দেশ করে সেটাই সমাজতন্ত্রবাদ । সমাজতন্ত্রবাদীদের মধ্যে তত্ত্বগত মতভেদ আছে। মাক্স পূর্ববর্তী সমাজতন্ত্রবাদীদের আদি সমাজতন্ত্র বাদী বলা হয়। যাদের utopian বা অবাস্তব আদর্শবাদী বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই আদি সমাজতন্ত্রবাদীদের মধ্যে একজন ছিলেন ইংল্যান্ডের রবার্ট ওয়েন। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন ম্যানচেস্টারের একটি কাপড়ের কলের ম্যানেজার। ম্যানেজার হিসেবে তিনি যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দেন। কিন্তু factory প্রথার যাবতীয় কুফল দেখে তিনি শ্রমিকশ্রেণীর উন্নতি সাধনে তার জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন। নিউ ল্যানার্কে একটি আদর্শ শিল্পনগর স্থাপন করে শ্রমিক সাধারণের সর্বপ্রক...

কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসে শর্ট প্রশ্ন

১   ) হিট্রো - গ্রাফি   কথার   অর্থ   কি                                                                         উত্তরঃইতিহাস   চর্চা ২ )  ইতিহাসের   জনক কাকে বলে                                                                        উত্তরঃহেরোডোটাস ...

ইউরোপের বৈজ্ঞানিক বিপ্লব কতটা 'বৈপ্লবিক' ছিল? লেখক: সুমন্ত ঘোষ

ইউরোপের বৈজ্ঞানিক বিপ্লব যে কত দূর পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক হয়ে উঠেছিল তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। মূলত এই সময় মানুষের সমালোচনামূলক চিন্তা-ভাবনা ও অনুসন্ধিতসা সত্বেও বিজ্ঞানচেতনা যে সবক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটাতে পেরেছিল তা বলতে একটু দ্বিধা বোধ হয়। কারণ এইসময় বৈজ্ঞানিকগন জগৎ ও বিশ্বভ্রম্মান্ড নিয়ে আলোচনা করলেও তারা সেগুলির যুক্তি পূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে অনেক সময় অক্ষম হতেন। তবে উল্লেখ করা দরকার গ্যালিলিও, কোরারনিকাস- এ সম্বন্ধে কিছু যুক্তি পূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে অবশ্যই সক্ষম হয়েছিলেন।  বৈজ্ঞানিক বিপ্লব 'বৈপ্লবিক' পর্যায়ে রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমরা আরেকটা বাধা লক্ষ্য করতে পারি, সেটা হলো বৈজ্ঞানিকগণের অনেকাংশই জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর গুরুত্বারোপ করত। তারা মনে করত জ্যোতিষশাস্ত্র এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান ছিল প্রায় সমর্থক। মূলত এই ধারণাই বৈজ্ঞানিক বিপ্লবকে বৈপ্লবিক ধারায় রূপান্তরের পরিপন্থী ছিল। তবে এক্ষেত্রে আমরা একজন ব্যতিক্রমী মনীষীকেউ দেখতে পারি যিনি তার আবহাওয়া সংক্রান্ত তত্ত্ব দ্বারা এই ভ্রান্ত জ্ঞান অর্থাৎ জ্যোতিষশাস্ত্রের অসারতার দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করেছিলেন। ইনি আর কেউ নন, ইনি হলেন রেনেসাঁ...