Skip to main content

বিজ্ঞানচর্চা বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান

 


১) The Indian Association for the Cultivation of Science / দি ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দা কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স 

- মহেন্দ্রলাল সরকার

১৮৭৬ সালে ডঃ মহেন্দ্রলাল সরকার ফাদার লাফোঁর সহায়তায় এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন । জনগণের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা অভিজ্ঞানমনস্ক স্বভাবের উদ্ভব ঘটানোর জন্য এই প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে জনসমাজে প্রচার চালায় নারী বিজ্ঞান চর্চাও তাদের দ্বারা উৎসাহিত হয় । 


২) University college of science and Technology / রাসবিহারী শিক্ষা প্রাঙ্গণ / কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ 

- স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় 

১৯১৪ সালের ২৭ মার্চ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় রাসবিহারী ঘোষ এবং তারানাথ পালিতের সাহায্য নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন । স্নাতকোত্তরে বিজ্ঞান চর্চার বিকাশ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার উন্নতি এদের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল । 


৩) বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ

-সত্যেন্দ্রনাথ বসু

বিজ্ঞান চর্চার বিকাশ ঘটানোর জন্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯৪৮ সালে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের প্রতিষ্ঠা করেন। 


৪) ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট /Indian statistical institute 

- প্রশান্তচন্দ্র মহালানবিশ

১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে পরিসংখ্যান বিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণার জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করা হয় ।


৫) বসু বিজ্ঞান মন্দির / Bose institute / বসু ইন্সটিটিউট

- আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু

১৯১৭ সালের ৩০ নভেম্বর বিজ্ঞান শিক্ষার অগ্রগতির জন্য এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হয়। 


৬) সাহা ইনস্টিটিউট অফ নিউক্লিয়ার ফিজিক্স 

- মেঘনাথ সাহা 

অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা ১৯৪৯  সালে বিজ্ঞান চর্চার প্রসার ঘটনার জন্য নীতি প্রতিষ্ঠা করেন । 

Comments

Popular posts from this blog

আদি সমাজতন্ত্র বাদী বা কাল্পনিক সমাজতন্ত্র লেখক- সুমন্ত ঘোষ

সমাজতন্ত্রবাদ একটি বিশেষ অর্থনৈতিক মতবাদ শিল্প বিপ্লবের প্রসারের সাথে সাথে বিভিন্ন দেশে কয়েকজন খ্যাতনামা সমাজতান্ত্রিক এর আবির্ভাব হয় । এই সমস্ত সমাজতান্ত্রিক কল্পনা করেছিলেন এমন এক সমাজ ব্যবস্থার যেখানে সকলেই নিজ নিজ যোগ্যতা অনুসারে কাজ করবে এবং সকলের শ্রম থেকে পাওয়া আয় সকলের মধ্যে ন্যায্যভাবে বন্টন করা হবে। মূলত এই মতবাদ প্রচলিত গণতন্ত্রবাদের মূলে কুঠারাঘাত করে যৌথ বা সামাজিক নিয়ন্ত্রণ এর ভিত্তিতে নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পথ নির্দেশ করে সেটাই সমাজতন্ত্রবাদ । সমাজতন্ত্রবাদীদের মধ্যে তত্ত্বগত মতভেদ আছে। মাক্স পূর্ববর্তী সমাজতন্ত্রবাদীদের আদি সমাজতন্ত্র বাদী বলা হয়। যাদের utopian বা অবাস্তব আদর্শবাদী বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই আদি সমাজতন্ত্রবাদীদের মধ্যে একজন ছিলেন ইংল্যান্ডের রবার্ট ওয়েন। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন ম্যানচেস্টারের একটি কাপড়ের কলের ম্যানেজার। ম্যানেজার হিসেবে তিনি যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দেন। কিন্তু factory প্রথার যাবতীয় কুফল দেখে তিনি শ্রমিকশ্রেণীর উন্নতি সাধনে তার জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন। নিউ ল্যানার্কে একটি আদর্শ শিল্পনগর স্থাপন করে শ্রমিক সাধারণের সর্বপ্রক...

কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসে শর্ট প্রশ্ন

১   ) হিট্রো - গ্রাফি   কথার   অর্থ   কি                                                                         উত্তরঃইতিহাস   চর্চা ২ )  ইতিহাসের   জনক কাকে বলে                                                                        উত্তরঃহেরোডোটাস ...

ইউরোপের বৈজ্ঞানিক বিপ্লব কতটা 'বৈপ্লবিক' ছিল? লেখক: সুমন্ত ঘোষ

ইউরোপের বৈজ্ঞানিক বিপ্লব যে কত দূর পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক হয়ে উঠেছিল তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। মূলত এই সময় মানুষের সমালোচনামূলক চিন্তা-ভাবনা ও অনুসন্ধিতসা সত্বেও বিজ্ঞানচেতনা যে সবক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটাতে পেরেছিল তা বলতে একটু দ্বিধা বোধ হয়। কারণ এইসময় বৈজ্ঞানিকগন জগৎ ও বিশ্বভ্রম্মান্ড নিয়ে আলোচনা করলেও তারা সেগুলির যুক্তি পূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে অনেক সময় অক্ষম হতেন। তবে উল্লেখ করা দরকার গ্যালিলিও, কোরারনিকাস- এ সম্বন্ধে কিছু যুক্তি পূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে অবশ্যই সক্ষম হয়েছিলেন।  বৈজ্ঞানিক বিপ্লব 'বৈপ্লবিক' পর্যায়ে রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমরা আরেকটা বাধা লক্ষ্য করতে পারি, সেটা হলো বৈজ্ঞানিকগণের অনেকাংশই জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর গুরুত্বারোপ করত। তারা মনে করত জ্যোতিষশাস্ত্র এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান ছিল প্রায় সমর্থক। মূলত এই ধারণাই বৈজ্ঞানিক বিপ্লবকে বৈপ্লবিক ধারায় রূপান্তরের পরিপন্থী ছিল। তবে এক্ষেত্রে আমরা একজন ব্যতিক্রমী মনীষীকেউ দেখতে পারি যিনি তার আবহাওয়া সংক্রান্ত তত্ত্ব দ্বারা এই ভ্রান্ত জ্ঞান অর্থাৎ জ্যোতিষশাস্ত্রের অসারতার দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করেছিলেন। ইনি আর কেউ নন, ইনি হলেন রেনেসাঁ...