Skip to main content

নেতাজীর ব্যাংক -Azad Hind Bank :: লেখক- সুমন্ত ঘোষ

ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের অন্যতম নেতা  সুভাষ চন্দ্র বসুকে  আমরা সবাই জানি. কিন্তু এই বীর বাঙালির হাতেই যে একটা ব্যাংক এর জন্ম হয়েছিল একথা কতজন জানে !!!! আপনি  কি জানেন??? যদি না জানেন  তবে  চলুন আজ একটু  সেই অজানা দুনিয়া থেকেই  ঘুরে আসি.


নেতাজীর তার এই ব্যাংক এর নাম  রেখেছিলেন আজাদ  হিন্দ ব্যাংক।  এটি রেংগুনে সম্ভবত ১৯৪৩ (মতান্তরে ১৯৪৪) সাল নাগাদ স্থাপন করা হয়। এই ব্যাংক থেকে বের হওয়া টাকায় থাকত বিপ্লবী নেতা  সুভাষচন্দ্রের ছবি, তবে  শুধু সুভাষের ছবিই নয়  থাকত গান্ধিজীর ছবি, কৃষক ও কৃষির ছবি, আজাদ হিন্দ বাহিনীর পতাকার ছবি ইত্যাদি।  নোটের উপরে আবার লেখা হত Bank Of Independence, Azad Hind Bank, Jai Hind, Our Own Bank ইত্যাদি এবং সাধারণভাবে কাগজের  এক দিকই ছাপানো হত। 




আসলে নেতাজী যেহেতু ব্রিটিশ বিরোধি আন্দোলনের পুজারি ছিলেন সেই হেতু ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে যুক্ত মানুষদের অর্থের  জোগান  দিতে তৎপর  থাকতেন, তা সে  বিশ্বের যেখানেই থাকুন না কেন আর এটাই ছিল এই ব্যাংকের  মূল উদ্দেশ্য।  বিদেশে থাকাকালীন সুভাষ অনেক প্রবাসী  ভারতীয়দের কাছ থেকে  অর্থের সাহায়্য পেয়েছিলেন যার মাধ্যমে আজাদ হিন্দ ফৌজ  এর ব্যয়ভার নির্বাহ কারা হত। এই সব টাকাই সুভাষ সম্ভবত ঐ ব্যাংকে রেখেছিলেন। তিনি গঠন করেছিলেন Netaji Fund Committee । 


সুভাষ  এই ব্যাংকের শাখা জাপানের বহু জায়গাতে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন অবশ্য এ বাপ্যারে অনেক ঐতিহাসিক জাপ সকারের সহযোগীতার কথাও বলে থাকেন।  শুধু অর্থ নয় সোনার মত মুল্যবান জিনিস গুলিও অকাতড়ে দেওয়া হতে  থাকে  ভারত মাতার স্বাধীনতার জন্য ।  রেংগুনে বসবাসকারী  হাবিব শাহেব নামে এক ব্যক্তি  নাকি তার সব সম্পত্তি ও মুল্যবান জিনিস আজাদ হিন্দ ব্যাংককে  দিয়েছিলেন, তার দানের পরিমান ছিল প্রায় ১ কোটি ৩ লখ টাকা. সুভাষের অন্তধানের পরে পরেই এই ব্যাংকের ভবিষ্যতেও অন্ধকার নেমে আসে।  

***এই ব্লগ পত্রিকায় লেখা পাঠানোর জন্য ও পুরষ্কার সংক্রান্ত নির্দেশনামার জন্য ক্লিক করুন:
http://itihasoitihasik.blogspot.in/2018/01/blog-post_46.html

*** পাঠকদের উদ্দেশ্যে জানান হচ্ছে, এই  ব্যাংক এর উপর লেখা বই জানা থাকলে  আমাকে Comment এ জানাবেন.

Comments

Popular posts from this blog

আদি সমাজতন্ত্র বাদী বা কাল্পনিক সমাজতন্ত্র লেখক- সুমন্ত ঘোষ

সমাজতন্ত্রবাদ একটি বিশেষ অর্থনৈতিক মতবাদ শিল্প বিপ্লবের প্রসারের সাথে সাথে বিভিন্ন দেশে কয়েকজন খ্যাতনামা সমাজতান্ত্রিক এর আবির্ভাব হয় । এই সমস্ত সমাজতান্ত্রিক কল্পনা করেছিলেন এমন এক সমাজ ব্যবস্থার যেখানে সকলেই নিজ নিজ যোগ্যতা অনুসারে কাজ করবে এবং সকলের শ্রম থেকে পাওয়া আয় সকলের মধ্যে ন্যায্যভাবে বন্টন করা হবে। মূলত এই মতবাদ প্রচলিত গণতন্ত্রবাদের মূলে কুঠারাঘাত করে যৌথ বা সামাজিক নিয়ন্ত্রণ এর ভিত্তিতে নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পথ নির্দেশ করে সেটাই সমাজতন্ত্রবাদ । সমাজতন্ত্রবাদীদের মধ্যে তত্ত্বগত মতভেদ আছে। মাক্স পূর্ববর্তী সমাজতন্ত্রবাদীদের আদি সমাজতন্ত্র বাদী বলা হয়। যাদের utopian বা অবাস্তব আদর্শবাদী বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই আদি সমাজতন্ত্রবাদীদের মধ্যে একজন ছিলেন ইংল্যান্ডের রবার্ট ওয়েন। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন ম্যানচেস্টারের একটি কাপড়ের কলের ম্যানেজার। ম্যানেজার হিসেবে তিনি যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দেন। কিন্তু factory প্রথার যাবতীয় কুফল দেখে তিনি শ্রমিকশ্রেণীর উন্নতি সাধনে তার জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন। নিউ ল্যানার্কে একটি আদর্শ শিল্পনগর স্থাপন করে শ্রমিক সাধারণের সর্বপ্রক...

কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসে শর্ট প্রশ্ন

১   ) হিট্রো - গ্রাফি   কথার   অর্থ   কি                                                                         উত্তরঃইতিহাস   চর্চা ২ )  ইতিহাসের   জনক কাকে বলে                                                                        উত্তরঃহেরোডোটাস ...

ইউরোপের বৈজ্ঞানিক বিপ্লব কতটা 'বৈপ্লবিক' ছিল? লেখক: সুমন্ত ঘোষ

ইউরোপের বৈজ্ঞানিক বিপ্লব যে কত দূর পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক হয়ে উঠেছিল তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। মূলত এই সময় মানুষের সমালোচনামূলক চিন্তা-ভাবনা ও অনুসন্ধিতসা সত্বেও বিজ্ঞানচেতনা যে সবক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটাতে পেরেছিল তা বলতে একটু দ্বিধা বোধ হয়। কারণ এইসময় বৈজ্ঞানিকগন জগৎ ও বিশ্বভ্রম্মান্ড নিয়ে আলোচনা করলেও তারা সেগুলির যুক্তি পূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে অনেক সময় অক্ষম হতেন। তবে উল্লেখ করা দরকার গ্যালিলিও, কোরারনিকাস- এ সম্বন্ধে কিছু যুক্তি পূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে অবশ্যই সক্ষম হয়েছিলেন।  বৈজ্ঞানিক বিপ্লব 'বৈপ্লবিক' পর্যায়ে রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমরা আরেকটা বাধা লক্ষ্য করতে পারি, সেটা হলো বৈজ্ঞানিকগণের অনেকাংশই জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর গুরুত্বারোপ করত। তারা মনে করত জ্যোতিষশাস্ত্র এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান ছিল প্রায় সমর্থক। মূলত এই ধারণাই বৈজ্ঞানিক বিপ্লবকে বৈপ্লবিক ধারায় রূপান্তরের পরিপন্থী ছিল। তবে এক্ষেত্রে আমরা একজন ব্যতিক্রমী মনীষীকেউ দেখতে পারি যিনি তার আবহাওয়া সংক্রান্ত তত্ত্ব দ্বারা এই ভ্রান্ত জ্ঞান অর্থাৎ জ্যোতিষশাস্ত্রের অসারতার দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করেছিলেন। ইনি আর কেউ নন, ইনি হলেন রেনেসাঁ...