Skip to main content

নাসা : National Aerontics and Space Administratio (NASA) :: লেখক- সুমন্ত ঘোষ


নাসা
(NASA) এর পুরো নাম National Aerontics and Space Administratio . ২৯ এ জুলাই ১৯৫৮ সালে আমেরিকা সরকারের এই বিশ্ববিখ্যাত মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রটি গড়ে উঠে। মহাকাশ সংক্রান্ত সকল বিষয়ে গবেষণার পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী ভিত্তিতে সাধারণ মানুষ ও মিলিটারি গবেষণায় চালায়  নাসা । ফেব্রুয়ারী ২০০৬ থেকে নাসা এর নিজস্ব মিশন স্টেটমেন্টটি হল - 'to pioneer the futuer inspace exploration, scientific discovery and aeronautics research' । পূর্বতন নাকা (ন্যাশনাল অ্যাডভাজরি কমিটি ফর অ্যারোনটিক্স) এর বদলে নাসা এর আবির্ভাব হয়।




নাসা এর উদ্দেশ্য সর্বসাধারণের উপকারার্থে কাজ করা । এই সংগঠনের সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী হলেন আমেরিকা যুক্তরাষ্টের প্রেসিডেন্ট ।  নাসা এর প্রধান কার্যালয়টি অবস্থিত ওয়াশিংটন ডি সি -তে । মার্কিন মহাকাশ যাত্রায় এই প্রতিষ্ঠানে ভূমিকা অ্যাপোলো চন্দ্রযাত্রা , স্কাইল্যাব মহাকাশ স্টেশন ও স্পেস শাটল প্রভৃতিতে দেখা যায়। নাসা হলো আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন প্রকল্পের সাথে  যুক্ত একটি সংস্থা।


নাসা-র নয়া পদক্ষেপ:


মহাকাশ থেকে ছিটকে আসা বিশাল গ্রহাণুর সঙ্গে পৃথিবীর সংঘর্ষ এড়াতে সফল হতে চলেছে নাসা-র নয়া পদক্ষেপ। তত্ত্বের গণ্ডি চাড়িয়ে এবার বাস্তবায়িত হতে চলেছে সেই প্রকল্প। পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়তে চলেছে বিশাল আকৃতির উল্কাপিণ্ড। সেই অভিঘাতের ফলে ঘটবে মহাপ্রলয়। ধ্বংস হবে মানবসভ্যতা। গত কয়েকশো বছর ধরে এমন ভবিষ্যদ্বাণীর সংখ্যা কম করেও কয়েক হাজার। বিজ্ঞানীদের ধারণা, আদিম যুগে এমনই মহাজাগতিক এক পাথরখণ্ডের সঙ্গে সংঘর্ষের ফলেই নীল গ্রহ থেকে চিরবিদায় নিয়েছিল ডাইনোসরের দল। এই তত্ত্ব প্রকাশের পর থেকেই মানবজাতির ভাবনায় ঘনাচ্ছে দুশ্চিন্তার মেঘ। কী ভাবে মহাকাশের রবাহূত অতিথির হাত থেকে রেহাই পাওয়া যা, তাই নিয়ে বিস্তর চিন্তা-ভাবনার শেষে এবার আশার আলো দেখিয়েছে নাসা।


খাতায়-কলমে প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল আগেই, এবার পৃথিবী লক্ষ্য করে ছুটে আসা গ্রহাণুদের নিশানা ভেস্তে দিতে নতুন পরিকল্পনা উপস্থাপনা করতে চলেছে নাসা। প্রকল্পের নাম Double Asteroid Redirection Test (DART)। কাইনেটিক ইমপ্যাক্টর কৌশল প্রয়োগ করে এই প্রথম এমন অভিযানে নামতে চলেছে নাসা। ওয়াশিংটনে নাসার প্রধান দপ্তরের মহাজাগতিক নিরাপত্তা আধিকারিক লিন্ডলে জনসন জানিয়েছেন, গ্রহাণু বা উল্কাপিণ্ডকে তীব্র আঘাত করে তাকে কক্ষপথচ্যুত করাই পরিকল্পনার মুখ্য উদ্দেশ্য। তাঁর কথায়, 'কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে নিরীহ কোনও ছোট উল্কাপিণ্ডের উপর এই ঐতিহাসিক পরীক্ষা করা হবে।'
নাসা সূত্রে খবর, ২০২২ ও তার পরে ২০২৪ সালে পৃথিবীর কাছাকাছি উড়ে আসা যমজ উল্কাখণ্ড ডিডাইমস-কে পরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। ডিডাইমস আসলে একটি জোড়া উল্কাখণ্ড। তার ২টি ভাগকে যথাক্রমে ডিডাইমস 'এ' এবং ডিডাইমস 'বি' নামে চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথমটি ৭৮০ মিটার ও দ্বিতীয়টি ১৬০ মিটার চওড়া। এর মধ্যে অপেক্ষাকৃত ছোট খণ্ডটিকেই নিশানা করেছে DART।
উত্ক্ষেপণের পরে রেফ্রিজারেটর আকারের DART ডিডাইমস বি-এর কাছাকাছি উড়ে গিয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে নিশানা তৈরি করবে। তার পরে সেকেন্ডে ৬ কিমি গতিতে তাকে আঘাত করবে, যা বন্দুক থেকে ছোড়া বুলেটের চেয়ে অনেক দ্রুত। আসলে উল্কাখণ্ডটি চূর্ণ করা উদ্দেশ্য নয়। বরং তাকে কক্ষপথ থেকে ছিটকে দেওয়াই লক্ষ্য।
পরীক্ষা সফল হলে ভবিষ্যতে অনেক বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাবে পৃথিবী। (এটুকুর তথ্যসূত্র: "এই সময়" পত্রিকা)





***এই ব্লগ পত্রিকায় লেখা পাঠানোর জন্য ও পুরষ্কার সংক্রান্ত নির্দেশনামার জন্য ক্লিক করুন:

Comments

Popular posts from this blog

আদি সমাজতন্ত্র বাদী বা কাল্পনিক সমাজতন্ত্র লেখক- সুমন্ত ঘোষ

সমাজতন্ত্রবাদ একটি বিশেষ অর্থনৈতিক মতবাদ শিল্প বিপ্লবের প্রসারের সাথে সাথে বিভিন্ন দেশে কয়েকজন খ্যাতনামা সমাজতান্ত্রিক এর আবির্ভাব হয় । এই সমস্ত সমাজতান্ত্রিক কল্পনা করেছিলেন এমন এক সমাজ ব্যবস্থার যেখানে সকলেই নিজ নিজ যোগ্যতা অনুসারে কাজ করবে এবং সকলের শ্রম থেকে পাওয়া আয় সকলের মধ্যে ন্যায্যভাবে বন্টন করা হবে। মূলত এই মতবাদ প্রচলিত গণতন্ত্রবাদের মূলে কুঠারাঘাত করে যৌথ বা সামাজিক নিয়ন্ত্রণ এর ভিত্তিতে নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পথ নির্দেশ করে সেটাই সমাজতন্ত্রবাদ । সমাজতন্ত্রবাদীদের মধ্যে তত্ত্বগত মতভেদ আছে। মাক্স পূর্ববর্তী সমাজতন্ত্রবাদীদের আদি সমাজতন্ত্র বাদী বলা হয়। যাদের utopian বা অবাস্তব আদর্শবাদী বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই আদি সমাজতন্ত্রবাদীদের মধ্যে একজন ছিলেন ইংল্যান্ডের রবার্ট ওয়েন। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন ম্যানচেস্টারের একটি কাপড়ের কলের ম্যানেজার। ম্যানেজার হিসেবে তিনি যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দেন। কিন্তু factory প্রথার যাবতীয় কুফল দেখে তিনি শ্রমিকশ্রেণীর উন্নতি সাধনে তার জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন। নিউ ল্যানার্কে একটি আদর্শ শিল্পনগর স্থাপন করে শ্রমিক সাধারণের সর্বপ্রক...

কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসে শর্ট প্রশ্ন

১   ) হিট্রো - গ্রাফি   কথার   অর্থ   কি                                                                         উত্তরঃইতিহাস   চর্চা ২ )  ইতিহাসের   জনক কাকে বলে                                                                        উত্তরঃহেরোডোটাস ...

ইউরোপের বৈজ্ঞানিক বিপ্লব কতটা 'বৈপ্লবিক' ছিল? লেখক: সুমন্ত ঘোষ

ইউরোপের বৈজ্ঞানিক বিপ্লব যে কত দূর পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক হয়ে উঠেছিল তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। মূলত এই সময় মানুষের সমালোচনামূলক চিন্তা-ভাবনা ও অনুসন্ধিতসা সত্বেও বিজ্ঞানচেতনা যে সবক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটাতে পেরেছিল তা বলতে একটু দ্বিধা বোধ হয়। কারণ এইসময় বৈজ্ঞানিকগন জগৎ ও বিশ্বভ্রম্মান্ড নিয়ে আলোচনা করলেও তারা সেগুলির যুক্তি পূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে অনেক সময় অক্ষম হতেন। তবে উল্লেখ করা দরকার গ্যালিলিও, কোরারনিকাস- এ সম্বন্ধে কিছু যুক্তি পূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে অবশ্যই সক্ষম হয়েছিলেন।  বৈজ্ঞানিক বিপ্লব 'বৈপ্লবিক' পর্যায়ে রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমরা আরেকটা বাধা লক্ষ্য করতে পারি, সেটা হলো বৈজ্ঞানিকগণের অনেকাংশই জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর গুরুত্বারোপ করত। তারা মনে করত জ্যোতিষশাস্ত্র এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান ছিল প্রায় সমর্থক। মূলত এই ধারণাই বৈজ্ঞানিক বিপ্লবকে বৈপ্লবিক ধারায় রূপান্তরের পরিপন্থী ছিল। তবে এক্ষেত্রে আমরা একজন ব্যতিক্রমী মনীষীকেউ দেখতে পারি যিনি তার আবহাওয়া সংক্রান্ত তত্ত্ব দ্বারা এই ভ্রান্ত জ্ঞান অর্থাৎ জ্যোতিষশাস্ত্রের অসারতার দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করেছিলেন। ইনি আর কেউ নন, ইনি হলেন রেনেসাঁ...