Skip to main content

Posts

Showing posts from 2018

সাব-অল্টার্ন স্টাডিজ ~অতীত-বর্তমান [লেখক: মিল্টন বিশ্বাস]

সাব-অল্টার্ন স্টাডিজ গোষ্ঠীর ইতিহাস গবেষণার কাজ শুরু হয়েছিল ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে। ২০১২ সালে এ গোষ্ঠীর প্রকাশনা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। ‘সাব-অল্টার্ন স্টাডিজ’ আর বের হবে না। তিন দশক ধরে কাজ করার পর এ গোষ্ঠীর কর্মকাণ্ড বন্ধ করে দেওয়া উচিত মনে করেছেন প্রধান তাত্ত্বিকরা। প্রত্যেকে এখন তাঁদের নিজের মতো করে কাজ করছেন। নিম্নবর্গের ইতিহাসচর্চায় সাহিত্য, দর্শন, ন্যায়শাস্ত্র, ধর্ম, বর্ণ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সমান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। অর্থাত্ নিম্নবর্গের ইতিহাস কোনো একক অথবা পৃথক জ্ঞানকাণ্ড নয়। বিশ্বব্যাপী এ জ্ঞানকাণ্ডের প্রভাব এখনো বহাল। ল্যাটিন আমেরিকাতে সাব-অল্টার্ন স্টাডিজ নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা হচ্ছে। সেখানে সাব-অল্টার্ন স্টাডিজ আলাদা গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত। জাপানেও বেশ কিছু আলোচনা হয়েছে। ইংরেজি ভাষায় বেশিরভাগ গ্রন্থ প্রকাশিত হওয়ায় ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়াতে এ গোষ্ঠীর লেখকদের নাম প্রায়ই উচ্চারিত হয়ে থাকে। মূলত দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাসতত্ত্ব বিশ্বজয় করেছে ‘সাব-অল্টার্ন স্টাডিজ’ প্রকাশনার মধ্য দিয়ে। নিম্নবর্গের ইতিহাস চর্চার এই গবেষণা-প্রকাশনার ইতিহাস বলার আগে এ গোষ্ঠী কর্তৃক ব্যবহূত ‘...

উত্তর আধুনিকতা

সত্তর দশকের শুরুতে দুই সমাজবিজ্ঞানী ড্যানিয়েল বেল (Danial Bell) এবং আলা তুরে (Alain Tauraine) এই যুক্তি দেখিয়েছেন যে, মানুষের ইতিহাসে এক নতুন সমাজ সৃষ্টি হয়েছে। যাকে উত্তর শিল্প সমাজ হিসেবে অভিহিত করা হয়। উত্তর শিল্প সমাজের ভিত্তি হচ্ছে তথ্য ও জ্ঞান। এই সমাজে প্রস্তুত শিল্পের অবক্ষয় ঘটে। মূলধনের মালিক বা শিল্পপতিদের স্থান অধিকার করে নেয় পেশাভিত্তিক ব্যবস্থাপক। এর ধারাবাহিকতায় শিক্ষার বিস্তার ঘটে। এভাবেই ক্রমশ উত্তর শিল্পযুগের ধারণা থেকে তৈরী হয়েছে উত্তরাধিকতার ধারণা। অনেক সমাজবিজ্ঞানী মনে করেন- আমরা নতুন এক যুগে প্রবেশ করেছি, যাকে উত্তর আধুনিক যুগ বলা যায়। উত্তর আধুনিকতার ধারণাটি মূলত : পণ্যের উৎপাদন বিপণন এবং এর উৎকর্ষতা সম্পর্কিত ধারণা হলেও সাহিত্যে এই ধারণাটি বহু পুরানো। পবিত্র সরকার তার একটি প্রবন্ধে বলেছেন- পোস্ট মডার্ন নিজম’ নামটির বয়স আজ একশ ত্রিশ বছরের মতো হলো। উত্তর আধুনিক স্থাপত্য ও শিল্প বিশেষজ্ঞ চার্লস জেং কস খবরের কাগজে চিঠি লিখে জানিয়েছিলেন যে, ১৮৭০ সালের লেখা কোন গ্রন্থে এই শব্দটির তিনি লক্ষ্য করেছেন। তার ধারণা শব্দটির প্রয়োগ বোধহয় তখন যেভাবে এবং যে অ...

জীবনটা চাপমুক্ত রাখুন ('~')

ঘর থেকে বের হলে যানজটের চাপ, অফিসে কাজের চাপ, ছাত্রজীবনে পরীক্ষার চাপ। সারাজীবন শুধু চাপের ছড়াছড়ি! এই চাপ সামলাতে গিয়ে আমরা অনেক সময় নিজেদের সামালই ধরে রাখতে পারি না। এই চাপ সামলাবেন নাকি জীবনটাকে উপভোগ করবেন? অতিরিক্ত চাপ নেবার ফলে আমাদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে মাথায় যন্ত্রণা, উচ্চ রক্তচাপ, ঘুমের ব্যাঘাত, ক্ষুধামন্দা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস এবং হৃদরোগ বেড়ে যাবার সম্ভাবনা প্রকট থাকে। তাই সুস্থ থাকার জন্য অবশ্যই আমাদের চাপ সামলাতে হবে। আমাদের একটি অভ্যাস হলো, যখন আমাদের হাতে অনেক কাজ জমা পড়ে থাকে, তখন আমরা কাজের কাজ না করে অন্য সকল কাজ করতে থাকি। যেমন ধরে নিন আপনার আগামীকাল একটি বড় পরীক্ষা আছে। বইয়ের ৬টি অধ্যায় পড়ার বাকি। কিন্তু আপনার কিছুই পড়া হয়নি। এদিকে রাত হয়ে গিয়েছে। আমাদের যেখানে পড়া উচিত, সেটা না করে আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘুমিয়ে যাই! ঘুমিয়ে গিয়ে নিজেকে এটা বুঝ দিই যে, পড়ে তো আর শেষ করতে পারবো না। তাই ঘুমিয়ে শরীরটা একটু ঠিক রাখি! কিন্তু পরের দিন যে পরীক্ষার হলে ধরা খেতে হবে, সেটা আর আমাদের মাথায় আনতে চাই না। এধরনের অনেক পরিস্থিতিতেই আমাদের পড়তে হয়। তো এরক...

মানবেন্দ্রনাথ রায়: একজন বাঙালি বিপ্লবী

আর্নেস্তো চে গুয়েভারাকে আন্তর্জাতিক বিপ্লবী বলেই সবাই চেনে। আর্জেন্টাইন এই গেরিলা কিউবার পাশাপাশি যুদ্ধ করেছেন কঙ্গো আর বলিভিয়াতে। অথচ এই চে গুয়েভারার মতোই একজন বিপ্লবী কিন্তু খোদ এই বঙ্গভূমিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। দেশ ছেড়ে তিনি গিয়েছিলেন সুদূর মেক্সিকোতে। মেক্সিকো আর ভারতীয় কম্যুনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন তিনি। বিপ্লবী মানবেন্দ্রনাথ রায় ওরফে এম এন রায়   আজকের যুগে একজন বিস্মৃতপ্রায় মানুষ হতে পারেন, কিন্তু গত শতকের দুটি মহাযুদ্ধ আর তার আগের কিংবা পরের উত্তাল জাতীয়তাবাদ আর বিপ্লবের ভিড়ে এই নামটি কিন্তু কম কৃতিত্বের অধিকারী নয়। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন জন্মের পর তার নাম রাখা হয় নরেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। পরে নাম পাল্টে হন মানবেন্দ্রনাথ রায় ওরফে এম এন রায়। ১৮৮৭ সালে অবিভক্ত বাংলার ২৪ পরগণা জেলার এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি দ্রুতই জড়িয়ে পড়েন স্বাধীনতাকামীদের সাথে। সেকালে বাংলা মুলুকে, বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বঙ্কিমচন্দ্র বা স্বামী বিবেকানন্দের খুবই নামডাক। তাদের লেখনী পড়ে অনেক যুবা তখন স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়বার জন্য হন্...

বিষয়- সুকুমারী ভট্টাচার্য / লেখিকা- রোমিলা থাপার

সুকুমারী ভট্টাচার্য তাঁর সমসাময়িক ইন্ডোলজিস্টদের মধ্যে একজন অন্যতম অগ্রগণ্য, যিনি তাঁর বিভিন্ন লেখার মাধ্যমে ভারতীয় পৌরাণিক আখ্যানগুলির  (Mythology)  ওপর এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করেছেন। আমি এই  ব্যাপারে তাঁর লেখা   The Indian Theogony   বইটির কথা উল্লেখ করতে চাই, যা আমি মনে করি তাঁর গবেষণার এক নতুন ও সুন্দর উদাহরণ। ইংরেজী ও সংস্কৃত দুই ভাষাতেই তাঁর শিক্ষা এবং ভারতীয় ও ইউরোপীয়ান পৌরাণিক কথাগুলির সম্বন্ধে তাঁর প্রভূত জ্ঞান তাঁকে এই বিষয়ে তুলনামূলক স্টাডি করতে সাহায্য করেছিল। সুকুমারী ভট্টাচার্য খালি বিভিন্ন সংস্কৃতির পৌরাণিক আখ্যানগুলির পাশাপাশি তুলনা করেই থেমে যান নি, তিনি এর থেকেও দু’পা এগিয়ে গেছেন। তার প্রথমটা হচ্ছে কোন প্রসঙ্গে   (context)    আখ্যানটি ঘটেছিল এবং সেটি কি ভাবে সেই প্রসঙ্গের সাথে যুক্ত। প্রসঙ্গটা এখানে গুরুত্বপূর্ণ, কারণ সেটাই পৌরাণিক আখ্যানগুলির আঁতুড় ঘর। এর অর্থ আখ্যানটি বর্তমান আকারে কি ভাবে এলো, তার গভীর নিরীক্ষা। আর অন্যটা হচ্ছে যে পৌরাণিক আখ্যানটি সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়েছে কি না, আর হয়ে থাকলে কতটা ও কিভাব...

***এশিয়াটিক সোসাইটি ভবন , কলকাতা***

এশিয়াটিক সোসাইটি, কলকাতা (১৭৮৪)  বৈজ্ঞানিকভাবে এশীয় সভ্যতা, বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়া, অধ্যয়নের জন্য প্রথম পান্ডিত্যপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। স্যার উইলিয়ম জোনস্ (১৭৪৬-১৭৯৪), যিনি ১৭৮৩ সালে কলকাতা সুপ্রীম কোর্টে কনিষ্ঠ বিচারক হিসেবে যোগদান করেন, সর্বপ্রথম সার্বিকভাবে এশিয়া এবং বিশেষভাবে দক্ষিণ এশিয়ার উপর পদ্ধতিগত গবেষণা পরিচালনার জন্য একটি সমিতি প্রতিষ্ঠার ধারণা দেন। ইতোমধ্যে নাথানিয়েল ব্র্যাসি হ্যালহেড, চালট্টস উইলকিন্র, এইচ.টি. কোলব্রুকসহ বেশ কয়েকজন কোম্পানি কর্মচারী সক্রিয়ভাবে প্রাচ্যদেশীয় অধ্যয়নে জড়িত হয়ে পড়েন। গভর্নর জেনারেল ওয়ারেন হেস্টিংস স্বয়ং ভারতীয় ক্ল্যাসিক্যাল ভাষা ও সাহিত্যের প্রতি গভীর আগ্রহী ছিলেন। সুতরাং প্রাচ্যবিদ্যা অধ্যয়নের উদ্দেশ্যে একটি নিয়মিত সংস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য জোনসের প্রস্তাব ফোর্ট উইলিয়ম এর অন্যান্য সহকর্মীদের নিকট থেকে জোরালো সমর্থন লাভ করে। ১৭৮৪ সালের ১৫ জানুয়ারি সমমনা ৩০ জন উৎসাহী ইউরোপীয় ব্যক্তিত্ব কলকাতা সুপ্রীম কোর্টের গ্রান্ড জুরি কক্ষে এক বৈঠকে মিলিত হন এবং এশিয়াটিক সোসাইটি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে জোনসের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। এ প্রতিষ...

***ঘসেটি বেগম ***

ঘসেটি বেগম নওয়াব আলীবর্দী খান-এর জ্যেষ্ঠা কন্যা। আসল নাম মেহেরুন্নেসা। নওয়াব আলীবর্দী খান তাঁর তিন কন্যাকে তাঁর বড়ভাই হাজী আহমদের তিন ছেলের সাথে বিবাহ দেন। ঘসেটি বেগমের বিবাহ হয়েছিল নওয়াজিস মুহম্মদ শাহমাত জং-এর সাথে এবং তাঁকে (শাহমাত জংকে) ঢাকার নায়েব নাজিম নিযুক্ত করা হয়েছিল। আলীবর্দী খানের কন্যা তার মর্যাদার প্রভাব প্রয়োগ করে প্রচুর ধন সম্পদ সঞ্চয় করেন। নিঃসন্তান নওয়াজিস-ঘসেটি দম্পতি সিরাজউদ্দৌলার কনিষ্ঠ ভাই ইকরামউদ্দৌলাকে পালক পুত্র হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। বসন্ত রোগে আক্রান্ত হয়ে ইকরামউদ্দৌলার মৃত্যু হয় এবং তার মৃত্যুর পর নওয়াজিস অল্প কিছুদিন জীবিত ছিলেন। ঘসেটি বেগম তার স্বামীর বিপুল ধনসম্পদের মালিকানা লাভ করেন। পূর্বেকার সঞ্চিত ধনসম্পদসহ উত্তরাধিকারসূত্ রে প্রাপ্ত তার ধন সম্পদ তিনি মতিঝিল প্রাসাদে সঞ্চিত করেন। বৃদ্ধ নওয়াব তাঁর কনিষ্ঠা কন্যার পুত্র সিরাজউদ্দৌলাকে তাঁর উত্তরাধিকারী মনোনীত করলে ঘসেটি বেগম এ  মনোনয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন এবং সিরাজউদ্দৌলার পরি...

আদি সমাজতন্ত্র বাদী বা কাল্পনিক সমাজতন্ত্র লেখক- সুমন্ত ঘোষ

সমাজতন্ত্রবাদ একটি বিশেষ অর্থনৈতিক মতবাদ শিল্প বিপ্লবের প্রসারের সাথে সাথে বিভিন্ন দেশে কয়েকজন খ্যাতনামা সমাজতান্ত্রিক এর আবির্ভাব হয় । এই সমস্ত সমাজতান্ত্রিক কল্পনা করেছিলেন এমন এক সমাজ ব্যবস্থার যেখানে সকলেই নিজ নিজ যোগ্যতা অনুসারে কাজ করবে এবং সকলের শ্রম থেকে পাওয়া আয় সকলের মধ্যে ন্যায্যভাবে বন্টন করা হবে। মূলত এই মতবাদ প্রচলিত গণতন্ত্রবাদের মূলে কুঠারাঘাত করে যৌথ বা সামাজিক নিয়ন্ত্রণ এর ভিত্তিতে নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পথ নির্দেশ করে সেটাই সমাজতন্ত্রবাদ । সমাজতন্ত্রবাদীদের মধ্যে তত্ত্বগত মতভেদ আছে। মাক্স পূর্ববর্তী সমাজতন্ত্রবাদীদের আদি সমাজতন্ত্র বাদী বলা হয়। যাদের utopian বা অবাস্তব আদর্শবাদী বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই আদি সমাজতন্ত্রবাদীদের মধ্যে একজন ছিলেন ইংল্যান্ডের রবার্ট ওয়েন। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন ম্যানচেস্টারের একটি কাপড়ের কলের ম্যানেজার। ম্যানেজার হিসেবে তিনি যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দেন। কিন্তু factory প্রথার যাবতীয় কুফল দেখে তিনি শ্রমিকশ্রেণীর উন্নতি সাধনে তার জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন। নিউ ল্যানার্কে একটি আদর্শ শিল্পনগর স্থাপন করে শ্রমিক সাধারণের সর্বপ্রক...

ডাঃ বিধান চন্দ্র রায়

সীমাহীন প্রতিভা,মানুষের জন্য অনন্ত ভালবাসা,ও বিস্ময়কর পরিশ্রম করার ক্ষমতা – একজীবনে মানুষের এর থেকে বেশী আর কিই বা চাওয়ার থাকতে পারে! ডাঃ বিধান চন্দ্র রায় হলেন মনুষ্য অভীষ্ট এই ত্রিবেণী ধারার যথার্থ সঙ্গমস্থল। ১৮৮২ সালের ১লা জুলাই পাটনার বাঁকিপুরে জন্মগ্রহণ করেন ছয় ভাইবোনের মধ্যে কনিষ্ঠতম বিধান রায়, ঠাকুমার আদরের ‘ভজন’।আদতে হতে চেয়েছিলেন ইঞ্জিনিয়ার,কিন্তু হয়ে গেলেন ডাক্তার। একসময়ে কোলকাতার পার্ট টাইম এই ট্যাক্সী ড্রাইভারটির,চিকিৎসক হিসেবে অবিশ্বাস্য প্রতিভার খ্যাতি অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশর সীমানা পেরিয়ে বার্মা থেকে বালুচিস্তান অবধি প্রায় সমগ্র এশিয়া মহাদেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।নিজেকে প্রায় কিংবদন্তী করে তুলেছিলেন তিনি চিকিৎসা বিদ্যায়। শুধু তো আর চিকিৎসক নয়, প্রশাসক হিসেবেও ছিলেন অতুলনীয়।১৪ বছরের মুখ্যমন্ত্রীত্বে বাংলার যে উন্নয়ন করেছিলেন,তা বিচারে,তিনি যথার্থই ‘পশ্চিমবঙ্গের রূপকার’। দুর্গাপুর ইস্পাত নগরী থেকে সল্টলেক,কল্যাণী থেকে দীঘা,এসবই তাঁর দূরদর্শী পরিকল্পনার সার্থক রূপায়ণ।কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়ের এই উপাধক্ষ্যের প্রচেষ্টাতেই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়,নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন গড়ে ওঠে...

নায়াগ্রা জলপ্রপাতের ইতিহাস

আমাদের এই পৃথিবীতে অনেক হাজারো জিনিস আছে, যার সৌন্দর্য যার রূপ দেখে আপনি মুগ্ধ হতে বাধ্য। ভ্রমন প্রিয় মানুষের কাছে এই নামটি যেনো স্বর্গের সুখ বহন করে। নায়াগ্রা জলপ্রপাত (Niagra Falls) তার একটি। “ONGUIAAHRA” অর্থ “জলরাশির বজ্রধ্বনি” যা থেকে নায়াগ্রা কথাটির উৎপত্তি। নায়াগ্রা জলপ্রপাত নায়াগ্রা নদীটি প্রায় ১২০০ বছর পুরনো হলেও আরো অনেক আগে প্রায় ১৮০০ বছর পূর্বে ওন্টারিওর দক্ষিণে প্রায় ২ থেকে ৩ কিলোমিটার বরফে ঢাকা ছিলো। সমস্ত এলাক জুড়ে বরফ এমন ভাবে ছিলো যেনো দেখলে মনে হতো শুভ্র সাদা কোন কাগজ হয়তো ভাঁজ করে রাখা হয়েছে। গ্রীষ্পমন্ডলীয় পরিবর্তনের ফলে গলতে শুরু করে বরফ আর ফ্রেট লেকস বেসিনে প্রচুর জল জমতে শুরু করে আর লেক ঈরি, নায়াগ্রা নদী আর লেক ওন্টারিও থেকে আসা জল মিলে এক বিশাল জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়। যা, বর্তমানে আমরা নায়াগ্রা’র জলপ্রপাত বলে থাকি। নায়াগ্রা জলপ্রপাত এর ইংরেজী নাম Niagra Falls । এটি নায়াগ্রা নামক নদীর উপর অবস্থিত বলে এর নাম “নায়াগ্রা” হয় বলে স্থানীয়দের ধারনা। কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত এই নায়াগ্রা জলপ্রপাত। মূলত তিনটি পাশাপাশি অবস্থিত ভিন্ন জলপ্রপ...