Skip to main content

Posts

Showing posts from 2019

আমাদের পদবীর পেছনের ইতিহাস

আমাদের প্রত্যেকের নামের শেষে আমরা একটি পদবী যুক্ত করি | যেমন কারও নাম ধরুন অমিত সরকার, এখানে অমিত টা তার নাম এবং শেষের অংশ টুকু তার পদবী | আজ এই পদবীর উদ্ভব হল কীভাবে সেই সম্পর্কে আলোচনা করব | বাঙালীদের বংশ পদবীর ইতিহাস খুব বেশী প্রাচীন নয় | মধ্য যুগে সামন্ততান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার ফলে পরবর্তীতে ব্রিটিশ আমলে চিরস্থায়ী ব্যবস্থার সমান্তরালে বাঙালির পদবীর বিকাশ ঘটেছে বলে মনে করা হয় | সামন্ততান্ত্র িক অর্থনীতির অনেক ক্ষেত্রেই জড়িয়ে আছে জমি ও হিসাব সংক্রান্ত পদবী | আবার অষ্টম শতকে বাংলাদেশ চরম নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলার পর গ্রাম সভা ও বিশিষ্ট নাগরিকরা সাধারণ একজনকে সম্রাট পদে বসিয়ে দিয়েছিলেন, যার নাম ছিল গোপাল | কিন্তু গোপালের নামের শেষ অংশ ( গো - পাল ) ধরে রাখবার প্রচেষ্টায় তাঁর উত্তরাধিকাররা ক্রমান্নয়ে সকলেই নামের শেষে গোপালের 'পাল ' অংশকে পদবী হিসাবে ব্যবহার করতে থাকেন | বল্লাল সেনের আমলেও ছত্রিশটি জাত সৃষ্টি করে আলাদা মর্যাদা তৈরি করা হয়েছিল | সমাজে এভাবে ছত্রিশটি প্রধান পদবীরও সৃষ্টি হয় পেশাগত গুনে | যাইহোক এখন বিভিন্ন পদবীর উদ্ভব কীভাবে হয় সংক্ষিপ্তভাবে তা বলছি -----...

শহীদ চন্দ্রশেখর আজাদ

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে যে সব মহান বিপ্লবীদের নাম যুক্ত তাদের মধ্যে একজন হলেন চন্দ্রশেখর আজাদ. | কাকোরি অভিযান, এলাহাবাদের সশস্ত্র সংঘর্ষ ইত্যাদি নানা বৈপ্লবিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যার নাম সক্রিয় ভাবে যুক্ত ছিল তিনি হলেন চন্দ্রশেখর আজাদ |  মহান বিপ্লবী চন্দ্রশেখর আজাদের জন্ম হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের. ঝাবুয়া জেলার ধাওড়া গ্রামে | জন্ম তারিখ 1906 সালের 23 শে জুলাই | বাবার নাম পন্ডিত সীতারাম তিওয়ারি | পন্ডিত বংশের সন্তান ছিলেন চন্দ্রশেখর | তাঁকে প্রথম জীবনে টোলে পড়াশোনা করতে হয়েছিল | তাঁর পিতার ইচ্ছা ছিল ছেলে বিখ্যাত সংস্কৃত পন্ডিত হয়ে উঠবেন | মাত্র 15 বছর বয়সে বেনারস সেন্ট্রাল কলেজের. ছাত্র হিসেবে অসহযোগ আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন | তখন তাঁকে প্রথম গ্রেপ্তার বরণ করতে হয় | আদালতের আত্মপরিচয়ে তিনি নিজেকে আজাদ বা স্বাধীন বলে পরিচিত করেছিলেন | তখন থেকেই এই নামটি তার সাথে জুড়ে গেছে | তাঁকে পনেরো বার বেত্রাঘাতের সাজা দেওয়া হয় |  এই সময় পর্যন্ত চন্দ্রশেখর ছিলেন মহাত্মা গান্ধীর একান্ত অনুগামী | ব্রিটিশদের হাত নিগৃহীত হবার পর এই পন্থা ত্যাগ করে সশস্ত্র বিপ্লবী হয়ে ওঠেন. | যোগাযোগ হয় বে...

নীল আলোর ভালু দ্বীপ

এক সংস্কৃত ‘দ্বীপমালা’ শব্দ থেকেই মালদ্বীপের উৎপত্তি। আবার অনেকে মনে করেন- ‘মালে দিভেই রাজে’-এই কথা থেকে মালদ্বীপ শব্দটির উদ্ভব। ‘মালে দিভেই রাজে’-এই কথার অর্থ, ‘দ্বীপরাজ্য’। ‘মহলদ্বীপ’ থেকেও মালদ্বীপের উৎপত্তি অনেকে মনে করেন। মহল মানে প্রাসাদ। ২৬ টি অ্যাটোল নিয়ে গঠিত মালদ্বীপ। অ্যাটোল মানে লেগুন ঘেরা প্রবালদ্বীপ। ২৬ টি অ্যাটোল আর ১১৯২ টি ক্ষুদ্র দ্বীপ নিয়ে মালদ্বীপ দেশ। এর মধ্যে মাত্র ২০০টি বাসযোগ্য। ইতিহাস থাক। মালদ্বীপ হচ্ছে স্বর্গরাজ্য। প্রকৃতি তার অপরূপ রূপ যেন ঢেলে দিয়েছে সেখানে। বিশাল সমুদ্র, নীল আকাশ আর প্রবাল দ্বীপ। দ্বীপে দ্বীপে অসাধারণ সব সমুদ্র সৈকত। ঈদ-পূজোর ছুটিতে ঘুরে আসতে পারেন মালদ্বীপ থেকে। দেখে আসতে পারেন মালদ্বীপের বিস্ময়কর এক সমুদ্র সৈকত। সেই সমুদ্র সৈকতে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে ঢেউয়ের সাথে ভেসে আসে লক্ষ লক্ষ তারা। মিথ্যে বলছি না একদম! দেখুন ছবিতেই কেমন লাখে লাখে তারা সৈকতে নেমে এসেছে। বিস্ময়কর না? সৈকতে যেন তারাবাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে কেউ। এই তারাবাতির রহস্য প্রকৃতির আরেক রহস্য। মনে হয় প্রকৃতি সৈকতকে সাজিয়ে দিয়েছে ফ্লুরোসেন্ট লাইটে। মিটিমিট নীল আলোয় ত...

*আধুনিক ছাপাখানার ইতিহাস*

মানব সভ্যতায় বইয়ের ইতিহাস প্রায় ৩ হাজার বছর পুরানো হলেও পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত সেসব বই ছিল হাতে লেখা। বই ছাপার কিছু প্রাচীন ধারণার সন্ধান চীনে পাওয়া গেলেও সেসব বইয়ের সঙ্গে আধুনিক বই ছাপানোর পদ্ধতিতে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য। সব মিলিয়ে বই ছিল তখন অত্যন্ত মূল্যবান, যে কারণে বেশিরভাগ বই গির্জা, রাজার তহবিল ও এই ধরণের অত্যন্ত শক্তিশালী ও ধনী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রয় করত। এছাড়া অল্প সংখ্যক বই শিক্ষিত ও অত্যন্ত ধনী ব্যক্তিগণ ক্রয় করতেন। পরবর্তীতে জার্মান অবিষ্কারক জোহানেস গুটেনবার্গ আধুনিক ছাপাখানার আবিষ্কার করলে অতি দ্রুতই তা পুরো জার্মানীসহ ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন, হল্যান্ড এবং ইউরোপের অন্যান্য বেশ কিছু অঞ্চলে পৌঁছে যায়। আধুনিক ছাপাখানার পূর্বের অবস্থা বর্তমান যুগের আধুনিক সভ্যতার সবচেয়ে বড় নিয়ামক মানা হয় গুটেনবার্গের এই আধুনিক ছাপাখানার আবিষ্কারকে। গুটেনবার্গের ছাপাখানা আবিষ্কার না হলে আধুনিক সভ্যতার কোনো উপকরণই বাস্তবায়ন সম্ভব হত না। ছাপাখানা আবিষ্কার হওয়ায় ও পরবর্তীতে এই আবিষ্কার ছড়িয়ে পড়ায় বইয়ের দাম জনসাধারণের নাগালে আসে। ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ে শিক্ষার আলো। এরই হাত ধরে...

প্রাচীন ট্রয় নগরী

ইতিহাস বলতে আসলে কি বোঝায়? প্রাচীন আমলের কিছু ছবি নাকি ভাঙা কিছু পাত্রের টুকরো? নাকি ইতিহাস বলতে বোঝায় জানা অজানা নানা কাহিনীর মিশেল, যার ফলে আমরা হয়ে উঠি চমকিত, যার ফলে আমাদের মনে জাগে নানা ধরণের প্রশ্ন? প্রত্নতাত্ত্বিকেরা কিংবা বিজ্ঞানীরা কেন ইতিহাস নিয়ে নাড়াচাড়া করেন? বর্তমানের এই উন্নত প্রযুক্তির যুগে ইতিহাসের সাথে বসবাস কি আদৌ কোন প্রয়োজন আছে কি? হ্যাঁ আছে। ইতিহাস থেকে আমরা পাই শিক্ষা, ইতিহাস থেকে আমরা পাই অজানা নানা তথ্য। মিশরের পিরামিডের এত সুউচ্চ পাথরগুলো কি করে প্রাচীন মানুষরা এত উচ্চে নিয়ে গেলেন, তা নিয়ে আজো আমাদের মনে নানা ধরণের প্রশ্ন জাগে। কেমন করে এসব প্রশ্নের জবাব পাব আমরা? এর মাঝেই প্রত্নতাত্ত্বিকেরা তাদের কাজের মাধ্যমে আমাদের সামনে নিয়ে আসেন নতুন নতুন তথ্য। মেলে দেন তথ্যের ঝাঁপি। আজ সে ঝাঁপি থেকেই আপনাদের জন্য আয়োজন। প্রাচীন ট্রয় নগরীর ইতিকথাঃ ট্রয়ঃ পৃথিবীতে যত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান নিয়ে বিতর্ক হয়েছে, ট্রয় নগরী নিঃসন্দেহে তাদের মাঝে প্রথম সারিতে অবস্থান করবে। হোমারের অমর গাঁথা “ইলিয়াড”-এ ট্রয় নগরী নিয়ে বিশদ বর্ণনা দেয়া আছে। এখান থেকেই ট্রয় নগরীর উদ্ভব। ট্রোজা...

বাবর

ভারতবর্ষে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন জাহিরউদ্দিন মহম্মদ জালালউদ্দিন বাবর । বাবরের বয়স  যখন মাত্র ১১ বছর সেই সময় বাবরের পিতা মারা যান । পিতৃহারা হওয়ার পর বাবর পিতৃরাজ্য ফারগানার দায়িত্বভার গ্রহণ করেন । কিন্তু পরবর্তীতে ফারগানা তাঁর হস্তচ্যুত হয় । একাধিক বার অভিযান চালিয়েও তিনি পিতৃরাজ্য অধিকার করতে ব্যর্থ হন । এরপর বাবর কিছুদিন নানান জায়গায় ঘুরে দিন কাটান । অবশেষে বাবর কাবুল এ উজবেগদের আভ্যন্তরিন বিবাদকে কাজে লাগিয়ে কাবুল দখল করে নেন । মূলত কাবুল দখল করার পরই বাবর ভারত আক্রমণ করার কথা চিন্তা করেন এবং ভারত আক্রমণ করেন । এ পর্বে তিনি ভারত আক্রমণ করলে কান্দাহার কতৃক কাবুল আক্রান্ত হয় । ফলে বাবর ভারত ত্যাগ করে কাবুলে ফিরে যান এবং কান্দাহার দখল করে নিয়ে পুনরায় ভারত আক্রমণ করেন । বাবরের প্রথম ভারত আক্রমণের তারিখ নিয়ে বিতর্ক  আছে । বাবরের আত্মজীবনিতে বলা হয়েছে বাবর প্রথম ভারত আক্রমণ করেন ১৫১৯ সালে কিন্তু আবুল ফজল বলেছেন বাবর প্রথম ভারত আক্রমণ করেন ১৫০৫ সালে । তবে    যাই হোক ১৫২৬ এর আগে বাবর পুরোপুরি ভাবে ভারত দখল একটা পরিকল্পনা নিয়ে ছিলেন , কিন্তু দৌলত খা লো...

ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ

ভারতমাতা অনেক বিশিষ্ট সন্তানের জন্ম দিয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ | ড. রাধাকৃষ্ণাণ ব্যক্তিগতভাবে ছিলেন একজন মহান দার্শনিক এবং শিক্ষাব্রতী, কিন্তু জীবনে চলার পথে তাঁকে ভারতের রাষ্ট্রপতির পদে আসীন হতে হয়েছে | মহাজ্ঞানী তপস্বী সাধক রাধাকৃষ্ণাণ বলেছেন যে, " আমাদের এই জীবন হল সাধনার জন্য | সাধনার পথেই জীবন উৎসর্গ করা প্রয়োজন | " তিনি সাধনাকেই নিজের জীবনের মূলমন্ত্র বলে স্বীকার করে নিয়েছিলেন | এছাড়াও রাধাকৃষ্ণাণ বলেছেন যে, " আমরা আমাদের আরাধ্য দেবতাকে যেমন কখনোই কোনো অশুদ্ধ, নোংরা অশুচি জিনিস নিবেদন করি না, ঠিক তেমনই আমরা, অশুদ্ধ -অশুচি আত্মা আমাদের ভগবানের কাছে নিবেদন করতে পারি না | ভগবানের চরণে আত্মাকে নিবেদন করতে হলে তা শুদ্ধ করে নিতে হবে | তবেই তা হবে নিবেদনের জন্য যোগ্য | তবেই তা হয়ে উঠবে পবিত্র | " রাধাকৃষ্ণাণ বলেছেন, জীবনে চলার পথে মানুষকে নানা চড়াই উৎরাই, ব্যথা - বেদনা, দুঃখ -কষ্ট প্রভৃতির মধ্য দিয়ে যেতে হয় | এরই নাম জীবন | এই পথে চলতে চলতে কখনো হতাশ হয়ে পড়তে নেই | দুঃখকে কখনো জীবনের শাস্তি বলে মনে করতে নেই | বরং বলা যেতে...

কৃষ্ণনগর কলেজের ইতিহাস

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত প্রথম সারীর একটি কলেজ হল কৃষ্ণনগর মহাবিদ্যালয় | এই কলেজের পরোতে পেরোতে ইতিহাস জড়িয়ে আছে | এই কলেজটির বয়স প্রায়. 170 বছর | কৃষ্ণনগর মহাবিদ্যালয়ের. শুভ উদ্ভোধন ঘটে 1845 সালের 28 নভেম্বর | এখানকার হাতার পাড়ার এক ভাড়া বাড়িতে | তৎকালীন বড়োলার্ট লর্ড হার্ডিঞ্জ 1846 সালের 1 জানুয়ারি এই কলেজের অনুমোদন দেন | এর কিছু সময় পর নদীয়ার মহারাজা শ্রীশচন্দ্র রায় এবং মুর্শিদাবাদের কাশিমবাজারের মহারানি স্বর্ণময়ী কলেজের শতাধিক বিঘা জমি দান করলে স্থানীয় শিক্ষাহিতৈষী ব্যক্তিবর্গের আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত বর্তমান প্রাসাদোপম ভবনে ভাড়া বাড়ি ছেড়ে স্থায়ী ভাবে কলেজ উঠে আসে 1856 সালের 1 জুন | এই মহাবিদ্যালয়ের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন বিশিষ্ট শেক্সপিয়ার বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন ডি.এল. রিচার্ডসন | এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে মি: রকফোর্ট , স্যার রোপার লেথব্রিজ , রায় বাহাদুর জ্যোতিভূষণ ভাদুড়ী, সতীশ চন্দ্র দে, আর. এন. গিলক্রিষ্ট. প্রমুখ যশস্বি শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ অধ্যক্ষের পদ অলংকৃত করেছেন | এখানকার খাতিনামা অধ্যাপক দের মধ্যে বাবু রামতনু লাহিড়ী , মদনমোহন তর্কালঙ্কার , চিন্তাহরণ চক্রবর্তী , সু...

একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি

"একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি " এটি একটি বাংলা দেশাত্মবোধক গান |গানটির রচনা এবং সুর করেন পিতাম্বর দাস মতান্তরে মুকুন্দ দাস |গানটি বাংলার সর্বকনিষ্ঠ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু সন্মানে রচিত হয়েছিল | ক্ষুদিরাম ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসন উৎখাত করার জন্য সশস্ত্র বিপ্লবে অংশ নিয়ে তিন ব্রিটিশ কে হত্যা করেছিলেন আর সে জন্য 1908 সালের 11ই আগষ্ট ব্রিটিশ সরকার তাঁর ফাঁসি দেয় ...1966 সালে মুক্তি পাওয়া সুভাষচন্দ্র ছবিতে এই গানটি ব্যবহার করা হয়েছিল ...তখন এই গানটি গেয়েছিলেন লতা মাঙ্গেশকর|..... সম্পূর্ণ. গানটি হল --- একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি। হাসি হাসি পরব ফাঁসি দেখবে ভারতবাসী। কলের বোমা তৈরি করে দাঁড়িয়ে ছিলেম রাস্তার ধারে মাগো, বড়লাটকে মারতে গিয়ে মারলাম আরেক ইংলন্ডবাসী। হাতে যদি থাকতো ছোরা তোর ক্ষুদি কি পড়তো ধরা মাগো রক্ত-মাংসে এক করিতাম দেখতো জগতবাসী শনিবার বেলা দশটার পরে জজকোর্টেতে লোক না ধরে মাগো হল অভিরামের দ্বীপ চালান মা ক্ষুদিরামের ফাঁসি বারো লক্ষ তেত্রিশ কোটি রইলো মা তোর বেটা বেটি মাগো তাদের নিয়ে ঘর করিস মা ওদের করিস দাসী দশ মাস দশদিন পরে জন্ম নেব মাসির ঘরে মাগো তখন যদি না চিনতে পা...

নেহেরু পরিবারের গান্ধী পরিবার হওয়ার ইতিহাস

1912 সালের 12. ই সেপ্টেম্বর বোম্বাই এর এক পা র্সি পরিবার জন্ম গ্রহণ করেন ফিরোজ জাহাঙ্গীর ...যার সঙ্গে ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিবাহ হয়েছিল এলাহাবাদে ফিরোজের সঙ্গে প্রথম ইন্দিরা গান্ধীর দেখা হয় ...সেখানে ইন্দিরা এবং তাঁর মা কমলার সঙ্গে ফিরোজের ভালো স ম্প র্ক গড়ে ওঠে ....তখন ইন্দিরার বয়স ছিল মাত্র 16 বছর ....ফিরোজ ইন্দিরা কে প্রেম নিবেদন করেন ..কিন্তু কমলা গান্ধী সেই প্রেম নিবেদন খারিজ করে দেন ....1936 সালে কমলা গান্ধী মারা যাবার পর ইন্দিরা একা হয়ে পড়ে ....জহরলাল তখন ইন্দিরা কে বিদেশে পড়াশোনা জন্য পাঠিয়ে দেন ...কিন্তু বিদেশ থেকে জহরলালের কাছে একের পর এক চিঠি আসতে থাকে তাতে লেখা বাবা আমি ফিরোজ কে ভালবাসি .....জহরলাল এতে কিছুটা হতাশ হন ...কারণ পাত্র একজন পারসিক .....আর এই বিবাহ হলে খবরের কাগজে নানা কথা লেখা হতে পারে ...তাই কোনো উপায় না দেখে জহরলাল মহা ত্মা গান্ধীর কাছে যান .....গান্ধীজি তখন সব কথা শুনে ফিরোজ কে দত্তক নেন নিজের পুত্র হিসাবে ....যার ফলস্বরূপ ফিরোজ জাহাঙ্গীর হয়ে যায় ফিরোজ গান্ধী .তারপর ইন্দিরা গান্ধীর বিবাহ হয় ফিরোজ গান্ধীর সঙ্গে .......
আজ থেকে প্রায় 150 বছর আগে ভারতের বুকে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম আলোকশিখা জ্বলে ওঠে কলকাতার উপকন্ঠে ব্যারাকপুরে |  1857 সাল | মার্চ মাস শেষ হয় হয় | শীত সবে বিদায় নিয়েছে | সকালের দিকে এখনও হিমের পরশ | কিছু দূরেই কুল কুল করে বয়ে চলেছে পতিত পাবনী গঙ্গা |  কলকাতার উপকন্ঠে ব্যারাকপুরের এই ক্যান্টনমেন্ট ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর অন্যতম প্রধান ঘাঁটি | এখান থেকেই বিদ্রোহের ধ্বজা আকাশের বুকে উড়েছিল | মঙ্গল পান্ডে নামের এক সামান্য সিপাই তাঁর হাতের বন্দুক থেকে নিক্ষেপ করেছিলেন মহাবিদ্রোহের প্রথম গুলিটি | মঙ্গল পান্ডের ছেলেবেলা সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানা যায় না | তবে তিনি ছিলেন উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলার গোঁড়া এক ব্রাহ্মণ পরিবারের সন্তান | উত্তরপ্রদেশের ফৈজাবাদের অন্তর্গত আকবরপুর তহশীলে 1827 সালের 19শে জুলাই মহাবিদ্রোহের অগ্নিশিখা মঙ্গল পান্ডে জন্ম গ্রহণ করেন | তাঁর পিতার নাম ছিল দিবাকর পান্ডে | মঙ্গলের একটি বোন ছিল | 1830 সালে এক দূর্ভিক্ষে তার অকাল মৃত্যুহয় | দারিদ্র্যের কশাঘাতে জর্জরিত পান্ডে পরিবার বাধ্য হয়ে কিশোর মঙ্গলকে ইংরেজদের সেনা ছাঁউনিতে পাঠিয়েছিল | ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্প...

নদীয়া জেলা ও তার রাজবংশের ইতিহাস

নদীয়ার রাজবংশের ইতিহাস :::---- বাংলা বিজয়ে মানসিংহকে সাহায্য করার জন্য পুরস্কার স্বরুপ ভবানন্দ মজুমদার সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে সন্মান লাভ করেন এবং তার সাথে এক ফরমান দ্বারা নদীয়া, সুলতানপুর, মারুপদহ,মহৎপুর,লেপা,কাশিমপ​ ুর, কয়েশা মমুন্দ্রা প্রভৃতি চৌদ্দটি পরগনার অধিকার লাভ করেন ( 1606 খ্রি : ) | মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর প্রদত্ত 14 টি পরগনার সনদসূত্রে নদীয়ার রাজা হন ভবানন্দ মজুমদার এবং সেই সঙ্গেই নদী য়া রাজবংশের সূচনা করেন | তাঁর বংশধররা 'রাজা' উপাধি ধারণ করে ব্রিটিশ শাসনের প্রতিষ্ঠাকাল পর্যন্ত নদীয়া শাসন করেন | ভবানন্দের পূর্ব নাম ছিল দূর্গাদাস সমাদ্দার, কিন্তু নদীয়া রাজপদে আসীন কালে তার নাম হয় ভবানন্দ মজুমদার | ভবানন্দের পূর্বপুরুষের পরিচয় :-- নদীয়ার রাজাগণ আদিশূর আনীত পঞ্চব্রাহ্মণের অন্যতম নেতা ভট্টনারায়ণের বংশজ | ভট্টনারায়ণ কান্যকুব্জ প্রদেশের ক্ষিতীশ নামে এক রাজার পুত্র ছিলেন | ভট্টনারায়ণের পুত্র নিপু হইতে অধঃস্তন একাদশ পুরুষে কামদেব জন্মগ্রহণ করেন | এই কামদেবের চার পুত্র ছিল তার মধ্যে জেষ্ঠ্য বিশ্বনাথ পিতার পিতৃগদী প্রাপ্ত হয়ে 1400 খ্রিস্টাব্দে দিল্লী যাত্রা করে...