Skip to main content

কৃষ্ণনগর কলেজের ইতিহাস

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত প্রথম সারীর একটি কলেজ হল কৃষ্ণনগর মহাবিদ্যালয় | এই কলেজের পরোতে পেরোতে ইতিহাস জড়িয়ে আছে | এই কলেজটির বয়স প্রায়. 170 বছর | কৃষ্ণনগর মহাবিদ্যালয়ের. শুভ উদ্ভোধন ঘটে 1845 সালের 28 নভেম্বর | এখানকার হাতার পাড়ার এক ভাড়া বাড়িতে | তৎকালীন বড়োলার্ট লর্ড হার্ডিঞ্জ 1846 সালের 1 জানুয়ারি এই কলেজের অনুমোদন দেন | এর কিছু সময় পর নদীয়ার মহারাজা শ্রীশচন্দ্র রায় এবং মুর্শিদাবাদের কাশিমবাজারের মহারানি স্বর্ণময়ী কলেজের শতাধিক বিঘা জমি দান করলে স্থানীয় শিক্ষাহিতৈষী ব্যক্তিবর্গের আর্থিক সহযোগিতায় নির্মিত বর্তমান প্রাসাদোপম ভবনে ভাড়া বাড়ি ছেড়ে স্থায়ী ভাবে কলেজ উঠে আসে 1856 সালের 1 জুন |
এই মহাবিদ্যালয়ের প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন বিশিষ্ট শেক্সপিয়ার বিশেষজ্ঞ ক্যাপ্টেন ডি.এল. রিচার্ডসন | এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে মি: রকফোর্ট , স্যার রোপার লেথব্রিজ , রায় বাহাদুর জ্যোতিভূষণ ভাদুড়ী, সতীশ চন্দ্র দে, আর. এন. গিলক্রিষ্ট. প্রমুখ যশস্বি শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ অধ্যক্ষের পদ অলংকৃত করেছেন |
এখানকার খাতিনামা অধ্যাপক দের মধ্যে বাবু রামতনু লাহিড়ী , মদনমোহন তর্কালঙ্কার , চিন্তাহরণ চক্রবর্তী , সুবোধ. চন্দ্র সেনগুপ্ত, আব্দুল হাই, প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য |
এই কলেজের বিখ্যাত ছাত্র দের মধ্যে রয়েছেন কবি ও নাট্যকার দিজেন্দ্রলাল রায়, চারণকবি ও সাংবাদিক বিজয়লাল চট্টোপাধ্যায়, ভূতত্ত্ববিদ ও টাটা লৌহ ইস্পাত কারখানার রুপকার প্রমথনাথ বসু এবং 2010 সালের মে মাসে এভারেস্ট জয়ী পর্বতরোহী বসন্ত সিংহ রায় প্রমুখ |
1999 সাল থেকে এই কলেজ কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত হয় | 2002 সাল থেকে এখানে দর্শন. ও ভূগোল , 2008 সালে বাংলায়. এবং 2010 সাল থেকে প্রাণিবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর. শ্রেণীর. পঠনপাঠন চালু হয় |

তথ্য সূত্র :- কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজের তথ্য পুস্তিকা 2013-2014
Papai Sikder

Comments

Popular posts from this blog

আদি সমাজতন্ত্র বাদী বা কাল্পনিক সমাজতন্ত্র লেখক- সুমন্ত ঘোষ

সমাজতন্ত্রবাদ একটি বিশেষ অর্থনৈতিক মতবাদ শিল্প বিপ্লবের প্রসারের সাথে সাথে বিভিন্ন দেশে কয়েকজন খ্যাতনামা সমাজতান্ত্রিক এর আবির্ভাব হয় । এই সমস্ত সমাজতান্ত্রিক কল্পনা করেছিলেন এমন এক সমাজ ব্যবস্থার যেখানে সকলেই নিজ নিজ যোগ্যতা অনুসারে কাজ করবে এবং সকলের শ্রম থেকে পাওয়া আয় সকলের মধ্যে ন্যায্যভাবে বন্টন করা হবে। মূলত এই মতবাদ প্রচলিত গণতন্ত্রবাদের মূলে কুঠারাঘাত করে যৌথ বা সামাজিক নিয়ন্ত্রণ এর ভিত্তিতে নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পথ নির্দেশ করে সেটাই সমাজতন্ত্রবাদ । সমাজতন্ত্রবাদীদের মধ্যে তত্ত্বগত মতভেদ আছে। মাক্স পূর্ববর্তী সমাজতন্ত্রবাদীদের আদি সমাজতন্ত্র বাদী বলা হয়। যাদের utopian বা অবাস্তব আদর্শবাদী বলে আখ্যায়িত করেছেন। এই আদি সমাজতন্ত্রবাদীদের মধ্যে একজন ছিলেন ইংল্যান্ডের রবার্ট ওয়েন। প্রথম জীবনে তিনি ছিলেন ম্যানচেস্টারের একটি কাপড়ের কলের ম্যানেজার। ম্যানেজার হিসেবে তিনি যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দেন। কিন্তু factory প্রথার যাবতীয় কুফল দেখে তিনি শ্রমিকশ্রেণীর উন্নতি সাধনে তার জীবনের আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করেন। নিউ ল্যানার্কে একটি আদর্শ শিল্পনগর স্থাপন করে শ্রমিক সাধারণের সর্বপ্রক...

কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসে শর্ট প্রশ্ন

১   ) হিট্রো - গ্রাফি   কথার   অর্থ   কি                                                                         উত্তরঃইতিহাস   চর্চা ২ )  ইতিহাসের   জনক কাকে বলে                                                                        উত্তরঃহেরোডোটাস ...

ইউরোপের বৈজ্ঞানিক বিপ্লব কতটা 'বৈপ্লবিক' ছিল? লেখক: সুমন্ত ঘোষ

ইউরোপের বৈজ্ঞানিক বিপ্লব যে কত দূর পর্যন্ত বৈজ্ঞানিক হয়ে উঠেছিল তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। মূলত এই সময় মানুষের সমালোচনামূলক চিন্তা-ভাবনা ও অনুসন্ধিতসা সত্বেও বিজ্ঞানচেতনা যে সবক্ষেত্রে উন্নয়ন ঘটাতে পেরেছিল তা বলতে একটু দ্বিধা বোধ হয়। কারণ এইসময় বৈজ্ঞানিকগন জগৎ ও বিশ্বভ্রম্মান্ড নিয়ে আলোচনা করলেও তারা সেগুলির যুক্তি পূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে অনেক সময় অক্ষম হতেন। তবে উল্লেখ করা দরকার গ্যালিলিও, কোরারনিকাস- এ সম্বন্ধে কিছু যুক্তি পূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে অবশ্যই সক্ষম হয়েছিলেন।  বৈজ্ঞানিক বিপ্লব 'বৈপ্লবিক' পর্যায়ে রূপান্তরের ক্ষেত্রে আমরা আরেকটা বাধা লক্ষ্য করতে পারি, সেটা হলো বৈজ্ঞানিকগণের অনেকাংশই জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর গুরুত্বারোপ করত। তারা মনে করত জ্যোতিষশাস্ত্র এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান ছিল প্রায় সমর্থক। মূলত এই ধারণাই বৈজ্ঞানিক বিপ্লবকে বৈপ্লবিক ধারায় রূপান্তরের পরিপন্থী ছিল। তবে এক্ষেত্রে আমরা একজন ব্যতিক্রমী মনীষীকেউ দেখতে পারি যিনি তার আবহাওয়া সংক্রান্ত তত্ত্ব দ্বারা এই ভ্রান্ত জ্ঞান অর্থাৎ জ্যোতিষশাস্ত্রের অসারতার দিকে আঙ্গুল নির্দেশ করেছিলেন। ইনি আর কেউ নন, ইনি হলেন রেনেসাঁ...