Skip to main content

Posts

Showing posts from 2022

কাল মার্কসের বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদ ইউটোপিয়ান সমাজতন্ত্রবাদ থেকে কতখানি ভিন্ন ছিল ?

 মার্কসের বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদ ইউরোপিয়ান সমাজতন্ত্রবাদ থেকে কতটা আলাদা? এ প্রশ্নের আলোচনার আগে দেখা দরকার সমাজতন্ত্রবাদ কি? সমাজতন্ত্রবাদ এমন এক মতবাদ, যা প্রচলিত গণতন্ত্রবাদের মূলে কুঠারাঘাত করে যৌথ বা সামাজিক নিয়ন্ত্রণের ভিত্তিতে নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার পথ নির্দেশ করে। সমাজতন্ত্রবাদের দুটি ভাগ আছে যথা আদি বা ইউরোপিয়ান সমাজতন্ত্রবাদ ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদ। প্রথম দিকে আদি সমাজতন্ত্রবাদ এর প্রাধান্য ছিল পরবর্তীকালে এই মতবাদের ত্রুটি লক্ষ্য করে মার্কস বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদ প্রচার করেন।  আদি সমাজতন্ত্রী প্রবক্তাদের মধ্যে প্রধান ছিলেন সেন্ট সাইমন, চার্লস ফুরিয়ার এবং রবার্ট কোয়েল ।  এদের দার্শনিক মতবাদ আধুনা নানাভাবে সমালোচিত হয়। এদের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ হল এরা ছিলেন অবাস্তববাদী ও কল্পনাপ্রবণ ।  বাস্তব পরিস্থিতির সাথে তাদের পরিচয় ছিল না কিংবা বাস্তব আর্থ-রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে তারা লঘুভাবে পরিবর্তনযোগ্য মনে করেছিলেন। তারা মনে করতেন শ্রেণী সংঘাত বা শ্রেণিবিদ্বেষ নয় শ্রেণী সহযোগিতার মধ্য দিয়েই সামাজিক সাম্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা হবে। তাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে...

ভারতের ইতিহাস : Quiz : Mock Test

*সকল প্রশ্নের উত্তর শেষে দেওয়া আছে।  ১) "বেদে ফিরে যাও"- এই উক্তিটি কে করেছেন a) গুরু নানক দেব b) দয়ানন্দ সরস্বতী c) স্বামী বিবেকানন্দ d) রাজা রামমোহন রায় ২) "স্বরাজ আমার জন্মগত অধিকার আমি তা অর্জন করবোই"- এই স্লোগানটি কেউ উত্থাপন করেন? a) মহাত্মা গান্ধী b) সুভাষচন্দ্র বসু c) বালগঙ্গাধর তিলক d) লালা লাজপত রাই ৩) ঐতিহাসিক লখনৌ চুক্তির পরিকল্পনাকারী হিসেবে কাকে 'হিন্দু মুসলমান ঐক্যের অগ্রদূত' অক্ষন প্রদান করা হয়েছিল? a) স্যার সৈয়দ আহমেদ খান b) ফজলুল হক c) স্যার সৈয়দ সরাফউদ্দিন কাদিরি d) মহম্মদ আলী জিন্না ৪) নিম্নলিখিত ঘটনাগুলোর সঠিকক্রম উল্লেখ কর। i : ভারতছাড়ো আন্দোলন ii : সিমলা অধিবেশন  iii : পুনা চুক্তি iv : মন্ত্রী মিশন a) ii iv i iii b) iii iv ii i c) iii i ii iv d) iv ii iii i ৫) ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে চম্পারণে মহাত্মা গান্ধী কোন আন্দোলনের শুরু করেন ? a) সত্যাগ্রহ b) অসহযোগ আন্দোলন c) ভারত ছাড়ো আন্দোলন d) স্বদেশী আন্দোলন ৬) বাংলার প্রথম গভর্নর জেনারেল কে ছিলেন ? a) রবার্ট ক্লাইভ b) উইলিয়াম বেন্টিং c) ওয়ারেন হেস্টিংস d) চার্লস কর্নওয়ালিশ ৭) বেনারস হি...

স্বাধীন ভারতের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গরা

স্বাধীন ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ছিলেন ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ। স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ছিলেন ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলাল নেহেরু। স্বাধীন ভারতের প্রথম স্পিকার ছিলেন গণেশ বাসুদেব মাভলঙকর স্বাধীন ভারতের প্রথম মহিলা স্পিকার ছিলেন মীরা কুমার। স্বাধীন ভারতের প্রথম জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন আচার্য যে.বি. কৃপালিনী। স্বাধীন ভারতের প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিযুক্ত মহিলা দূত ছিলেন অরুনা আসফ আলি। স্বাধীন ভারতে প্রথম ভারতীয় নোবেল পুরস্কার জয়ী নারী হলেন মাদার টেরিজা। স্বাধীন ভারতের প্রথম বিদেশী গভর্নর জেনারেল ছিলেন লর্ড মাউন্টব্যাটেন। স্বাধীন ভারতের প্রথম ভারতীয় গভর্নর জেনারেল ছিলেন চক্রবর্তী রাজা গোপালাচারী। স্বাধীন ভারতের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। স্বাধীন ভারতের প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি ছিলেন প্রতিভা পাটেল। স্বাধীন ভারতের প্রথম মহিলা বিচারপতি ছিলেন এম ফতিমা বিবি। স্বাধীন ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের প্রথম দলিত সভাপতি ছিলেন দামোদরম সঞ্জীভাইয়া। স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচন কমিশনার ছিলেন সুকুমার সেন। স্বাধীন ভারত...

কিছু গুরুত্বপূর্ণ শব্দ

চতুর্বেদ : ঋকবেদ , সামবেদ, যজুর্বেদ, অথর্ববেদ ত্রিপিটক : বিনয় পিটক, সূত্র পিটক এবং অভিধর্ম পিটক চতুর্যাম : অহিংসা,সত্য, অচৌর্য এবং অপরিগ্রহ পঞ্চশীল : অহিংসা,  সত্যবাদিতা,  অচৌর্য,  অন্যায় না করা, খারাপ আচরণ না করা ষড়দর্শন : সংখ্যাদর্শন, যোগ দর্শন, ন্যায় দর্শন, বৈশেষিক দর্শন, পূর্ব মীমাংসা এবং উত্তর মীমাংসা চতুরাশ্রম : ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ, সন্ন্যাস পঞ্চভারত : পাঞ্জাব, কনৌজ, বাংলা, বিহার/মিথিলা এবং উড়িষ্যা ত্রিরত্ন : পম্পা, পন্না, রন্না অষ্টাঙ্গিক মার্গ : সৎ বাক্য, সৎ কার্য, সৎ জীবন, সৎ চেষ্টা, সৎ চিন্তা, সৎ সচেতনতা, সৎ সংকল্প, সৎ দর্শন বা সৎ সমাধি । পঞ্চনদ  : শতদ্রু, ইরাবতী, বিপাশা, ঝিলাম এবং চন্দ্রভাগা সপ্তসিন্ধু : গঙ্গা, যমুনা, সরস্বতী, শতদ্রু, মরুদ্ধধা, আর্ষিকীয়, সিন্ধু নবরত্ন : কালিদাস, ধন্বন্তরি, খপনক , শঙ্কু, বেতালভট্ট, ঘটকপর, অমর সিংহ, বরাহমিহির, বররুচি পঞ্চরত্ন : শরন, ধোয়ী, গোবর্ধন, উমাপতিধর ও জয়দেব ত্রিরত্ন : সৎজ্ঞান, সৎবিশ্বাস এবং সৎকর্ম পঞ্চভিক্ষু : কৌন্ডিন্য, ভদ্রিক, অশ্বজিৎ, বাষ্প, মহানাম ষোড়শ মহাজনপদ ...

রেনেসাঁ যুগের বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক বিপ্লব

রেনেসাঁ যুগে শুধুমাত্র সাহিত্য, ভাস্কর্য, চিত্রকলা ইত্যাদির ক্ষেত্রেই বিপ্লব আসেনি, বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও আমূল পরিবর্তন তথা বিপ্লবিক চিন্তাধারার বিকাশ ঘটে । উদ্ভিদবিদ্যা , প্রাণিবিদ্যা, ভূগোল ইত্যাদি সবকিছুতেই নতুনত্বের গন্ধ ছড়ায়। মহাকাশ বিদ্যা তথা জ্যোতির্বিদ্যার নবযুগ শুরু হয় । Hale বলেছেন ষোড়শ শতাব্দীর শেষদিকে রেনেসাঁস পর্বের বিজ্ঞানে অনুসন্ধিৎসার এক নব যুগ শুরু হয় । কোপার্নিকাসের ব্যাখ্যা ও তার উত্থান আমরা এই সময়ই দেখি । রেনেসাঁ পর্বে ভূগোলের উন্নতির মধ্য দিয়ে নতুন নতুন দেশ আবিষ্কার করার এক উদ্দাম চেষ্টা শুরু হয়। বার্থালোমিউ দিয়াজ, কলম্বাস, ভাস্কো দা গামা, ভেসপুচি, ফার্দিনান্দ ম্যাগলান প্রমুখের আবিষ্কার পৃথিবীর পুরনো মানচিত্রের পরিবর্তন করে নতুন মানচিত্রের সৃষ্টি করেছিল। সেই মানচিত্রের মধ্যে এমন এমন দেশের নাম যুক্ত হয় যেগুলি সম্পর্কে পূর্বে কোন ধারনাই ছিল না ।  ষোড়শ শতাব্দীর বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার জ্যোতির্বিদ্যাকে নতুন ব্যাখ্যা দেয় । এতদিন পর্যন্ত টলেমীয় তত্ত্ব শ্রদ্ধার সঙ্গে গৃহীত হচ্ছিল , এর একটা কারণ ছিল চার্চের ধারণার সঙ্গে অনেকটা সঙ্গতিপূর্ণ ছিল টলেমীর ব্যবস্থা । ষো...

প্রাচীন ভারতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ ও জীবনচরিত

গ্রন্থের নাম : গ্রন্থকার অর্থশাস্ত্র : কৌটিল্য  অষ্টাধ্যায়ী : পাণিনি  মহাভাষ্য : পতঞ্জলি  বৃহৎকথা : গুণাঢ্য মৃচ্ছকটিকম : শূদ্রক স্বপ্নবাসবদত্তা : ভাস  মুদ্রারাক্ষস : বিশাখ দত্ত  বৃহৎসংহিতা : বরাহমিহির  সূর্যসিদ্ধান্ত : আর্যভট্ট  পঞ্চসিদ্ধান্তিকা : বরাহমিহির সিদ্ধান্ত শিরোমণি : ভাস্করাচার্য  রাজতরঙ্গিনী : কলহান  প্রবন্ধ চিন্তামণি : মেরুতুঙ্গ প্রবন্ধকোষ : রাজশেখর কথাসরিৎ সাগর : সোমদেব ভট্ট  চন্দ্রচূড় চরিত : উমাপ্রতিধর বর্ধমান চরি ত : আসসা  হরিচরিত : চতুর্ভুজ  নৈকর্ষচরিত : শ্রী হর্ষ  কৃষ্ণ চরিতম : সমুদ্রগুপ্ত  উত্তর রামচরিত : ভবভূতি  দশকুমারচরিত : দন্ডী  পার্শ্বনাথ চরিত : ভবদের সুরী মাধ্যমিক সুত্র : নাগার্জুন  মিতাক্ষরা : বিজ্ঞানেশ্বর সুশ্রুত সংহিতা : সুশ্রুত  ব্রহ্ম সিদ্ধান্ত : ব্রহ্মগুপ্ত  চিকিৎসা সংগ্রহ : চক্রপানি দত্ত  চরকসংহিতা : চরক  দায়ভাগ : জীমূতবাহন  মাধব নিদান : মাধবকার  শব্দ প্রদীপ : সুরেশ্বর  বৃক্ষায়ুর্বেদ : সুরেশ্বর হর্ষচরিত ...

বৈজ্ঞানিক বিপ্লব - প্রথম পর্ব

        কোপার্নিকাস আকাশ দেখছেন , ছবির সৌজন্যে: উইকিপিডিয়া  পঞ্চদশ শতাব্দীর শেষ থেকেই ইউরোপের বিজ্ঞানের জগতে নতুন চেতনার উদ্ভব করতে থাকে ‌। এক্ষেত্রে গ্রিক এবং আরবীয় বিজ্ঞান চর্চা ইউরোপের এই বিজ্ঞানের জগতের উন্নতির ক্ষেত্রে একটা বড় ভূমিকা নিয়েছিল । ইউরোপের বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের দুটি দিক রয়েছে । একদিকে এটি যেমন বিজ্ঞানের ব্যবহারিক জগতে এক বিপুল পরিবর্তন এসেছিল ঠিক অন্যদিকেই বিজ্ঞান দর্শনের ক্ষেত্রে পূর্বের চিন্তাধারার মধ্যেও এক বিপ্লবিক পরিবর্তন ঘটেছিল ।  সমগ্র ষোড়শ ও সপ্তদশ শতাব্দী জুড়ে ইউরোপের এই বিজ্ঞান বিপ্লব চলতে থাকে এবং ধীরে ধীরে এর শক্তি বৃদ্ধি হতে থাকে যা পরবর্তী পর্যায়ে ইউরোপের শিল্প বিপ্লবের ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল । অর্থাৎ আমরা বলতে পারি ইউরোপের শিল্প বিপ্লবের ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক বিপ্লবেরও একটা বড় অবদান রয়েছে। মহাবিশ্ব ও মানব শরীর এই সময় বিজ্ঞান গবেষণার মূল কেন্দ্রে চলে আসে । আলোচনা হতে থাকে জড় পদার্থের সঙ্গে বিশ্বের সম্পর্কের বিষয়টি, অর্থাৎ প্রকৃতি বিজ্ঞানচর্চার আগ্রহ বৃদ্ধি ঘটে । আবার এর সাথে চলতে থাকে প্রাকৃতিক এবং স্বর্গীয় ব...

ইউরোপের ধর্মসংস্কার আন্দোলনে মার্টিন লুথারের ভূমিকা

মার্টিন লুথার, ছবির সৌজন্যে : উইকিপিডিয়া রেনেসাঁস শুধু ইউরোপের মনোজগতেই উত্তরণ করেছিল তা নয় সে স্পর্শ করেছিল ধর্মীয় জগৎকেও এবং প্রশস্ত করেছিল ধর্মসংস্কার বা রিফরমেশনের পথ। এই ধর্মসংস্কার আন্দোলনে একাধিক ব্যক্তিবর্গ যুক্ত ছিলেন, তারা তাদের কৃতকার্যের দ্বারা এই Reformation-কে বহুদূর এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন।  মাটির লুথার ছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন। মার্টিন লুথার তার ধর্মীয় মতবাদের জন্য অনেকটা ঋণী ছিলেন উইলিয়াম ওকাম নামক এক ব্যক্তির নিকট। এছাড়া তার মতবাদে সেন্ট অগাস্টাইনের প্রভাবও কিছু রয়েছে । লুথার উচ্চশিক্ষা লাভ করে করেন উইটেনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে , পরবর্তীকালে তিনি এখানে ধর্মতত্ত্বের অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন । ১৫১৭ খ্রিস্টাব্দে তিনি উইটেনবার্গ চার্চের দরজায় ক্ষমারপত্রের বিরুদ্ধে ৯৫ টি দফা তত্ত্ব ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন । এই সময় আধ্যাত্মিক সংকট অত্যন্ত দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়েছিল। ক্যাথলিক চার্চের পোপ, বিশপ, আর্চ বিশদ- এরা অত্যন্ত একঘেয়েমি জীবন-যাপন করছিল। পোপ এতটাই বিলাস ভোগী হয়ে উঠেছিলেন যে তার প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। এমন সময় অর্থ সংগ্রহের দাবিতে পোপ ইন্ডালজেন্স /...

ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকে ইউরোপে কিভাবে ব্যাংকিং/ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল ?

     আমস্টারডামের পুরনো টাউন হল , সৌজন্যে : উইকিপিডিয়া ইউরোপে পনেরো শতকের বহু আগে থেকেই ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে ঋণ দেওয়া নেওয়া অঙ্গানিকভাবে জড়িয়ে ছিল । ব্যাংক গড়ে ওঠার মূল কারণই ছিল ব্যবসাদার সংস্থাগুলির সেবা ও সহযোগিতা । ১৬৯৪ খ্রিস্টাব্দে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড নামে একটি সরকারি ব্যাংক পত্তনের আগে সরকারি ব্যাংকগুলি কেবল অর্থের আমানত আর সংস্থানের কাজ করতো। ঋণ বা আগাম দেওয়া অথবা শেয়ারের কাগজপত্রের কারবার করা- এসব করত না।  তাই এইসব কাজকর্ম ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ব্যাংকগুলি শুরু করতে থাকে।  ১৩০০ খ্রিস্টাব্দের আগে পরে ব্যাংকের কাজকর্ম করা আর ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিয়েছিল ফ্লোরেন্স। ফ্লোরেন্সের সংস্থাগুলির সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব এই যে সুদূর ইংল্যান্ডের ওপরেও তারা নিজের আধিপত্য কায়েম করতে পেরেছিল । ফ্লোরেন্সের বিখ্যাত ব্যাংকিং পরিবারগুলি হল মেদিচি, বার্দি, পেরুজ্জি প্রভৃতি। এর মধ্যে মেদিচি নিঃসন্দেহে বিখ্যাত ছিল ।  ইউরোপীয় রাজারা নানা কারণে যথা প্রশাসন, সৈন্যবাহিনী, যুদ্ধ ইত্যাদির জন্য তারা এই সমস্ত ব্যাংকিং পরিবার গুলির কাছ থেকে ঋণী নিতেন ।...

রেনেসাঁস শিল্পকলার প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্য কি ছিল ?

দ্যা বার্থ অফ ভেনাস , source: Wikipedia রেনেসাঁস বা নবজাগরণ ইউরোপে এক নতুন ধরনের সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলেছিল । এই সমাজ ব্যবস্থার শ্রেষ্ঠ অবদান ছিল শিল্পের ক্ষেত্রে । বত্তিচেল্লি, মাইকেল এঞ্জেলো, রাফায়েল, দোনাতেলা, দা ভিঞ্চি প্রমূখ শিল্পীরা ছিলেন রেনেসাঁস শিল্পের সঙ্গে জড়িত । রেনেসাঁ শিল্পের লক্ষ্যে মানবতাবাদের কথা বলেছিল এবং ক্লাসিক যুগ বা ধ্রুপদী যুগের গাম্ভীর্য প্রথা ও একঘেয়েমিকে পেছনে ফেলেছিল । ল্যান্ডস্কেপের ব্যবহার, দিগন্তের নতুন নতুন আঙ্গিক, ফর্মের বাস্তবতা প্রভৃতি দেখা গিয়েছিল।  রেনেসাঁস শিল্প যথার্থই secular বা ধর্মনিরপেক্ষ  ছিল কিনা সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছে । অন্তত রেনেসাযুগের পেইন্টিং বা চিত্রকলার উপর খ্রিস্ট ধর্মের যথেষ্ট প্রভাব লক্ষ্য করা যায় । প্রধানত এই প্রভাবেই আলোচ্য পর্বে শিল্পে অঙ্কিত হয়েছিল ক্রুশবিদ্ধ যীশু, পিতেতা, ম্যাডোনা, বিভিন্ন খ্রিস্ট ধর্মীয় সম্পদের প্রতিকৃতি এবং অন্যান্য ধর্মীয় দৃশ্য । অবসর পাশাপাশি বহু ধর্মনিরপেক্ষ মানবিক দৃশ্যও দেখা যায়। এগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল দৈনন্দিন জীবনের বহু চিত্র, অসমস্যা সুন্দর বা নিতান্তই সাধারণ দর্শনীয় নরন...

ভারতের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর || কুইজ || Quiz

*সব প্রশ্নের উত্তর শেষে দেওয়া আছে  ১) হরপ্পার সভ্যতার লোকেরা কোন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতো ?  A) চীন B) ইরান  C) রাশিয়া  D) সুমের  ২) মেগাস্থিনিস কে ছিলেন ?   A) সেলুকাসের দূত B) চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের প্রধানমন্ত্রী C) গ্রীক পরিব্রাজক D) চীনা ভ্রমণকারী ৩) ভারতের ইতিহাসের কোন যুগের লোক ছিলেন আর্যভট্ট ও বরাহমিহির ?  A) মৌর্য যুগ B) গুপ্ত যুগ C) পাল যুগ D) দিল্লি সুলতানি ৪) রাজতরঙ্গিনী কার লেখা ? A) কৌটিল্য B) মেগাস্থিনিস C) কলহন D) এঁদের কেউই নন ৫) এলাহাবাদ প্রশস্তি কে রচনা করেছিলেন ?   A) অশ্বঘোষ B) নাগার্জুন C) হরি সেন D) বসু মিত্র ৬) বুদ্ধ কোথায় তার বাণী প্রথম প্রচার করেছিলেন ? A) কুশিনগর B) বুদ্ধগয়া C) কাশি D) সারনাথ ৭) আলেকজান্ডার কতদিন ভারতে ছিলেন ?  A) ১৬ মাস B) ১৯ মাস C) ২০ মাস D) ২৪ মাস E) ২৭ মাস ৮) কে আমিত্রাঘাত নামে পরিচিত ছিলেন ? A) বিম্বিসার B) বিন্দুসার C) অশোক D) কালাশোক ৯) ভারতীয় টাকায় যে সিংহমূর্তি ছাপা থাকে তা কোথায় আবিষ্কৃত হয়েছিল?  A) কুশীনগর B) সাঁচি C) বুদ্ধগয়া D) সারনাথ  ১০) দিল্লির কোন সুলতান একটি অশোক স্ত...

হরপ্পা সভ্যতা Mock Test

  1) সর্বপ্রথম হরপ্পার কথা কে পন্ডিত মহলের গোচরে আনেন ?  - চার্লস ম্যাসন, ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে ২) হরপ্পার গ্রামীণ সভ্যতার নাম কি ?  - মেহেরগড় সভ্যতা ৩) কে মেহেরগড় সভ্যতা আবিষ্কার করেন এবং কত সালে ? - জেন ফ্রাসোয়া জারিজ ও রিচার্ড মিডো , ১৯৭৪ সালে  ৪) হরপ্পা সভ্যতার অপর নাম কি ?  - সিন্ধু সভ্যতা । কারণ এর বেশিরভাগ প্রশ্ন ক্ষেত্রে সিন্ধু নদের উপত্যকায় পাওয়া যায় । ৫) কে হরপ্পা প্রত্নক্ষেত্রটি আবিষ্কার করেন ?  - দয়ারাম সাহানি 1921 সালে হরপ্পা প্রত্নক্ষেত্রটি আবিষ্কার করেন।  ৬) মহেঞ্জোদাড়ো প্রত্নক্ষেত্রটি কে আবিষ্কার করেন?  - রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, ১৯২২ খ্রিস্টাব্দে  ৭) হরপ্পা সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ নগরগুলি কি কি ? - হরপ্পা, মহেঞ্জোদাড়ো, কালিবঙ্গান, লোথাল, চানহুদার,  রোপার,  কোট ডিজি, বানোয়ালী, আমরি, ধৌলাবীরা, কুন্টাসি, আল্লাহদিনো, বালাকোট, কুনাল, মান্ডা, নৌশারো, সুরকোটাডা ইত্যাদি।  ৮) হরপ্পা কোথায় অবস্থিত ?  - পাকিস্তান পাঞ্জাবের মন্টগোমারি জেলায় । ৯) মহেঞ্জোদারো কোথায় অবস্থিত?  - সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলায় ...

আধুনিক ভারতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ লেখক ও তাদের গ্রন্থসমূহ

স্বামী বিবেকানন্দ : বর্তমান ভারত,  প্রাচ্য প্রাশ্চাত্য, ভাবার কথা, কর্মযোগ, রাজযোগ, পরিব্রাজক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর : বর্ণপরিচয়, শকুন্তলা, সীতার বনবাস, ভ্রান্তিবিলাস, বোধদয়, কথামালা, বেতাল পঞ্চবিংশতি, উপক্রমণিকা, বাংলার ইতিহাস, ব্যাকরণ কৌমুদী রমেশচন্দ্র দত্ত : রাজপুত জীবনসন্ধ্যা, বঙ্গ বিজেতা, মাধবীকঙ্কন, মহারাষ্ট্রের জীবনপ্রভাত, ইকোনোমিক হিস্ট্রি অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়া ইন দা ভিক্টোরিয়ান এজ  কেশবচন্দ্র সেন : নব সংহিতা, জীবনবেদ অরবিন্দ ঘোষ : সাবিত্রী, ভবানী মন্দির, মাদার ইন্ডিয়া, লাইফ ডিভাইন, এসেস অফ গীতা, নিউ ল্যাম ্প ফর ওল্ড  দাদাভাই নৌরোজি : প্ভার্টি অ্যান্ড আনব্রিটি রুল ইন ইন্ডিয়া গোপালকৃষ্ণ গোখলে : ইন্ডিয়া আন্ডার দা ব্রিটিশ সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি : এ নেশনস ইন মেকিং বিপিনচন্দ্র পাল : সোল অফ ইন্ডিয়া, স্বদেশী ও স্বরাজ দীনেশ ওয়াচা : সেল ফ্রম দা স্যান্ড অফ বোম্বে ফিরোজ শাহ মেহতা : অরিজিন অফ দ্য মডারেট মুভমেন্ট উমেশচন্দ্র ব্যানার্জি : introduction to the indian politics লালা লাজপৎ রাই : আনহ্যাপি ইন্ডিয়া, কল টু ইয়ং ইন্ডিয়া, ইংল্যান্ড ডেবট টু ইন্ডিয়া উইলিয়াম ...

প্রাচীন ভারতের বিশিষ্ট রাজ্যবর্গ ও তাদের পরিচিত নাম বা উপনাম

১) ভারতের প্রথম ঐতিহাসিক বৃহৎ সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা - চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য ২) প্রাচীন ভারতের নেপোলিয়ন - সমুদ্র গুপ্ত  ৩) প্রাচীন ভারতের মিলটন - অশ্বঘোষ ৪) প্রাচীন ভারতের রক্ষাকারী - স্কন্ধগুপ্ত  ৫) দ্বিতীয় বৌদ্ধ - অতীশ দীপঙ্কর ৬) প্রাচীন ভারতের শেক্সপিয়ার - কালিদাস ৮) ভারত এটিলা / অ্যাটিলা - মিহিরকুল ৯) কিংবদন্তি বিক্রমাদিত্য / শকারি - গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ১০) মানবজাতির প্রথম ধর্মগুরু - মৌর্য সম্রাট অশোক ১১) প্রাচীন ভারতের সুবর্ণযুগের অগ্রদূত - সমুদ্রগুপ্ত ১২) দক্ষিণা পথনাথ - দ্বিতীয় পুলকেশী ১৩) সকল উত্তরে পথনাথ / সকলোত্তর পথনাথ - হর্ষবর্ধন ১৪) পাল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা - গোপাল ১৫) পাল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা - প্রথম মহীপাল ১৬) লিচ্ছবি দৌহিত্র - সমুদ্র গুপ্ত ১৭) বাতাপিকোন্ড  বা বাতাপি ধ্বংসকারী - প্রথম নরসিংহ বর্মন ১৮) সকল দক্ষিণ দিগধিপতি - রাষ্ট্রকূটরাজ তৃতীয় কৃষ্ণ ১৯) উত্তরাপথ স্বামী - ধর্মপাল ২০) প্রাচীন বাংলার প্রথম সার্বভৌম রাজা : শশাঙ্ক ২১) গুপ্তযুগের নিউটন - আর্যভট্ট ২২) আদি বরাহ - প্রতিহারাজ ভোজ  ২৩) চীনের হেরোডোটাস - সু মা সিয়েন ...

ভারতের ইতিহাসের জনক-জননী ব্যক্তিবর্গ

আধুনিক ভারতের জনক : রাজা রামমোহন রায় ভারতের জাতির জনক: মহাত্মা গান্ধী ভারতের জাতীয়তাবাদের জনক : রাজা রামমোহন রায় ভারতের সংগ্রামশীল জাতীয়তাবাদের জনক : বাসুদেব বলবন্ত ফাড়কে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের জনক : অ্যালান অক্টাভিয়াম হিউম্যান আধুনিক ভারতীয় জাতীয়তাবাদের জনক : স্বামী বিবেকানন্দ ( কিছু ঐতিহাসিক বলেছেন ) পশ্চিম ভারতের ধর্ম সংস্কার আন্দোলনের জনক : গোপাল হরি দেশমুখ আধুনিক রেলপথের জনক : লর্ড ডালহৌসি আধুনিক পাঞ্জাবের জনক : লর্ড ডালহৌসি  ভারতীয় সিভিল সার্ভিসের জনক: লর্ড কর্নওয়ালিস ভারতের বিপ্লববাদের জননী : মাদাম ভিকাজী কামা  ভারতের রায়তওয়ারি ব্যবস্থার জনক : স্যার টমাস মনরো ভারতের মহলওয়ারি ব্যবস্থার জনক : হোল্ট ম্যাকেঞ্জি মহারাষ্ট্রে সংগ্রামশীল জাতীয়তাবাদের জনক : বাসুদেব বলবন্ত ফাড়কে ভারতের বিক্ষোভের জনক : বালগঙ্গাধর তিলক ভারতের আধুনিক বিচারব্যবস্থার জনক : ওয়ারেন হেস্টিংস  ভারতের দ্বিজাতি তত্ত্বের প্রবক্তা : স্যার সৈয়দ আহমেদ খান ভারতবর্ষে ওয়াহাবি আন্দোলনের জনক  : উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলির সৈয়দ আহমেদ পূর্ব এশিয়ার স্বাধীনতা সংগ্রামের জনক : রাসবিহারী বসু ভা...

বিজ্ঞানচর্চা বিষয়ক কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান

  ১) The Indian Association for the Cultivation of Science / দি ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দা কাল্টিভেশন অফ সায়েন্স  - মহেন্দ্রলাল সরকার ১৮৭৬ সালে ডঃ মহেন্দ্রলাল সরকার ফাদার লাফোঁর সহায়তায় এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন । জনগণের মধ্যে বিজ্ঞান চেতনা অভিজ্ঞানমনস্ক স্বভাবের উদ্ভব ঘটানোর জন্য এই প্রতিষ্ঠান বিভিন্নভাবে জনসমাজে প্রচার চালায় নারী বিজ্ঞান চর্চাও তাদের দ্বারা উৎসাহিত হয় ।  ২) University college of science and Technology / রাসবিহারী শিক্ষা প্রাঙ্গণ / কলকাতা বিজ্ঞান কলেজ  - স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়  ১৯১৪ সালের ২৭ মার্চ স্যার আশুতোষ মুখোপাধ্যায় রাসবিহারী ঘোষ এবং তারানাথ পালিতের সাহায্য নিয়ে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন । স্নাতকোত্তরে বিজ্ঞান চর্চার বিকাশ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষার উন্নতি এদের গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য ছিল ।  ৩) বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদ -সত্যেন্দ্রনাথ বসু বিজ্ঞান চর্চার বিকাশ ঘটানোর জন্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু ১৯৪৮ সালে বঙ্গীয় বিজ্ঞান পরিষদের প্রতিষ্ঠা করেন।  ৪) ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউট /Indian statistical ...